পাঠাও বেহেশত হ’তে হজরত্ পুন সাম্যের বাণী (pathao beheshot hote)
পাঠাও বেহেশত হ’তে হজরত্ পুন সাম্যের বাণী,
(আর) দেকিতে পারি না মানুষে মানুষে এই হীন হানাহানি॥
বলিয়া পাঠাও, হে হজরত
যাহারা তোমার প্রিয় উম্মত,
সকল মানুষে বাসে তা’রা ভালো খোদার সৃষ্টি জানি’ –
সবারে খোদারই সৃষ্টি জানি॥
আধেক পৃথিবী আনিল ঈমান (তোমার) যে উদারতা-গুণে,
শিখিনি আমরা সে-উদারতা, (কোরানে হাদিসে) কেবলি গেলাম শুনে’।
তোমার আদেশ অমান্য ক’রে
লাঞ্ছিত মোরা ত্রিভুবন ভ’রে,
আতুর মানুষে হেলা ক’রে বলি, ‘আমার খোদারে মানি’॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৯ মাস।
- গ্রন্থ:
- বনগীতিকা
- দ্বিতীয় সংস্করণ [১৩৫৯ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে, ১৯৫২)]
- নজরুল রচনাবলী সপ্তম খণ্ড [কার্তিক ১৪১৯, নভেম্বর ২০১২। বনগীতি দ্বিতীয় খণ্ড। ৫। পৃষ্ঠা ১১৫]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ১৪৮৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৪৭]
- বনগীতিকা
- রেকর্ড: এইচএমভি [মার্চ ১৯৩৯ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৫)। এন ১৭২৬৪। শিল্পী আব্দুল গফুর। সুর: নজরুল]