প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ! (priye! boli, o priye!)

প্রিয়ে ...বলি ও-প্রিয়ে ...তুমি দেখ ...।
[কাঁপা-কণ্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]

পুরুষ    :  প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!
             দেখ বিরহের দাবানল জ্বলে গোঁফ-দাড়িতে।
স্ত্রী       :  ও-স’রে যা, সে আগুন লেগে যাবে শাড়িতে॥
পুরুষ    :  একে ভীষণ ফাগুন মাস
স্ত্রী       :  ওগো তাই বুঝি হাঁসফাঁস?
পুরুষ    :  কাপাস ফলের মত ফেটে পড়ে হিয়া গো,
স্ত্রী       :  প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে ছড়াইয়া গো,
উভয়ে   :  রব্ ওঠে ভোঁস্-ভাঁস্ হৃদি-রেলগাড়িতে॥
পুরুষ    :  আজি এ বিরহের কাঠ-ঠোক্‌রা, ঠোকরায় প্রেমের টাকে,
স্ত্রী       :  ওগো এ হেন বেয়াধি হলে টাকে, মধ্যম-নারায়ণ তেল মাখে।
পুরুষ    :  হায়-হায়-হায়-হায়-হায়
             আমাদের মাঝে কে রচিবে মিলনের সাঁকো।
স্ত্রী       :  থাক্ থাক্ পুরুতঠাকুর ইঞ্জিনিয়ার
             তারে তাড়াতাড়ি ডাকো, ডাকো, একবার ডাকো না?
উভয়ে   :  আগুন লাগিল ওরে দাড়ি আর শাড়িতে
             যুগল মিলন হ’ল ধেড়ে আর ধাড়িতে॥

  • রচনাকাল : গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৪) মাসে,  টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ হয়েছিল। সেই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৬ মাস।
     
  • রেকর্ড: টুইন। ডিসেম্বর ১৯৩৭ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৪)। এফটি ১২১৯৩। শিল্পী: গোপাল ভট্টাচার্য ও রাধারাণী
     
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্‌রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা] দশম গান। [নমুনা]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: হাসির গান
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয়
    • তাল: কাহারবা
    • গ্রহস্বর: গা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।