বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ (bodhu tomar amar ei je biroho)
বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।
তাই যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে॥
বারে বারে মোরা কত সে ভুবনে আসি
দেখিয়া নিমেষে দুইজনে ভালোবাসি,
দলিয়া সহসা মিলনের সেই মালা (কেন) চলিয়া গিয়াছি দোঁহে॥
আমরা বুঝি গো বাঁধিব না ঘর, অভিশাপ বিধাতার।
শুধু চেয়ে থাকি, কেঁদে কেঁদে ডাকি, চাঁদ আর পারাবার
যেন চাঁদ আর পারাবার।
মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়!
শতবার ফোটে' শতবার ঝ'রে যায়;
আমি কাদি ব্রজে (বঁধু), তুমি কাঁদ মথুরায়, মাঝে অপার যমুনা বহে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭) কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৩ মাস।
- রেকর্ড: কলাম্বিয়া রেকর্ড। সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র -আশ্বিন ১৩৪৭)। জিই ২৫৫৫। শ্রীমতি রাধারাণী [শ্রবণ নমুনা]
- বেতার: ঠুংরীর জলসা (ঠুমরী গানভিত্তিক অনুষ্ঠান)।কলকাতা বেতার কেন্দ্র। [২৯ নভেম্বর ১৯৪১ (শনিবার ১৩ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮), সময়: সন্ধ্যা ৭.৫০-৮.২৯ মিনিট।
- সূত্র:
- বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ২২শ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ১৩৫৬
- The Indian Listener Vol VI No. 22. page 87
- সূত্র:
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: সুধীন দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, সপ্তম খণ্ড নজরুল ইন্সটিটিউট ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ/ ২৫শে মে, ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ] [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
- পর্যায়: