বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের প্রদীপ (bodhu fire esho, ajo praner prodip)

বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের প্রদীপ রেখেছি আঁচল ঢেকে।
বিরহ-নিশাসে দীরঘ বাতাস কেঁপে ওঠে থেকে থেকে।
আখর: (আর রাখিতে নারি
নিবু নিবু দীপ রাখতে নারি
বুঝি আমার পরাণ-প্রদীপ নিভাবে-আমরি নয়ন-বারি।)
বঁধু যমুনার তীরে আসি ফিরে ফিরে কল্প-কদম-তরু-তলে,
হেরি বালুচরে বেণু আছে পড়ে ডাকে না আর রাধা বলে।
অভিমানী বাঁশি আমার বুকে আসি’ কেঁদে কেঁদে কহে যেন গো,
হরি আরাধিকা এলে যদি শ্রীহরি এলনা কেন গো!
পায়ে প’ড়ে কাঁদে এসে যমুনার ঢেউ
বলে রাধা ব’লে আর ডাকে না ত কেউ।
জটিলা কুটিলা আজ কলহ ভুলে
জড়ায়ে মোরে কাঁদে যমুনা-কূলে।
বলে কৃষ্ণ কই গো
এই বিরহ-যমুনায় পার হব কবে, বল হে বিরহী মম
বল কোন্‌ সে গোলকে রহিবে চোখে চোখে
প্রিয়তম হে কৃষ্ণ আঁখি-তারা সম॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের  সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৮) মাসে, হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ৩ মাস।
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৮৫৪ ও ৩০৭৯ । পৃষ্ঠা: ২৬২ ও ৯৪২।
     
  • রেকর্ড: হিন্দুস্তান [ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৮)। এইচ ৯৪৭। শিল্পী: গৌরী বসু। সুর: নজরুল। শ্রেণি: কীর্তন]
     
  • সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন ধর্ম, বৈষ্ণবসঙ্গীত]
    • সুরাঙ্গ: কীর্তন

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।