কহ প্রিয়ে, কেমন এ রাতি কাটাই (koho priye, kemon e rati katai)

কহ প্রিয়ে, কেমন এ রাতি কাটাই।
কহিতে শরমে বাধে, তামুক যে নাই॥
প্রাণ করে আঁকুপাঁকু,
কোথায় গেলে পাই তামাকু,
পেটে যেন চলে মাকু বুক করে আইঢাই॥
বসে আছি নইচে ধরে শূন্য কলকে শূন্যে তুলে,
ধোঁয়া বিনে চোঁয়া ঢেকুর ঠেলে ওঠে কণ্ঠ-মূলে।
প্রাণের দায়ে খেতে হবে চেঁছে হুঁকোর কাই।॥
হুঁকোর জলের গন্ধ শুঁকে কোনোরূপে কাটত এ-রাত
ছুঁচো তাড়াইতে তাহাও শেষ করেছ, হায় রে বরাত!
গুল থাকলেও হত উপায়,
দাঁত মেজেছ তাই দিয়ে, হায়!
রংপুরে তোমার বাড়ি ভেবেও শান্তি পাই॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।  এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • সুর-সাকী
      • প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৯২ সংখ্যক গান। পিলু-দাদরা। পৃষ্ঠা ২৮১-২৮২]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংখ্যা ২৩৮১। 'তামাকু বিরহ'। রাগ: পিলু, তাল: দাদরা। পৃষ্ঠা: ৭২৮]
  • রেকর্ড: মেগাফোন [এপ্রিল ১৯৪০ (চৈত্র ১৩৪৬-বৈশাখ ১৩৪৭)]। এন ৫৪৭০। শিরোনাম: তামাকু বিরহ। শিল্পী: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।