বরষা ঐ এলো বরষা (borosha oi elo borosha)

বরষা ঐ এলো বরষা
অঝোর ধারায় জল ঝরঝরি' অবিরল
ধূসর নীরস ধরা হলো সরসা॥
ঘন দেয়া দমকে দামিনী চমকে
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর ঝমঝম ঝমকে
মনে পড়ে সুদূর মোর প্রিয়তমকে
মরাল মরালীরে হেরি সহসা॥

  • ভাবার্থ:  গানটির শুরু হয় প্রকৃতি পর্যায়ের বর্ষা আগমনী সঙ্গীতের আদলে । কিন্তু গানটির শেষের দুটি পঙ্‌ক্তিতে গানটি হয়ে ওঠে শৃঙ্গার রসে সিক্ত বিরহের গান। এ গানের নায়িকা নিবিড় বর্ষার প্ভাবে হয়ে ওঠে বিরহের প্রতিরূপ। তাই সব মিলিয়ে বলা যায় গানটি প্রকৃতি ও প্রেম পর্যায়ের।

    গানটির স্থায়ীতে উপস্থাপিত হয়েছে বর্ষণমুখর প্রকৃতি। আগত বর্ষার অবিরল বৃষ্টিধারা ধূসর-নীরস প্রকৃতিকে সরস করে তোলে। ঘন বৃষ্টির মাঝে আকাশ উদ্ভাসিত করে বিদ্যুতের চমক। বর্ষণমুখর প্রকৃতির মাঝে মেঘের বজ্র ধ্বনি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর ঝঞ্ঝার ঝাঁঝরের ঝমঝম ধ্বনি। এমন উদ্দাম বর্ষার ভিতরে নায়িকা হঠাৎ প্রেমে বিভোর মরাল-মারলীকে দেখতে পায়। সুদূর প্রবাসী প্রিয়তমের সঙ্গলাভের লিপ্সা জেগে ওঠে তার মনে। প্রিয়-সঙ্গহীন নায়িকা হয়ে ওঠে যেন শৃঙ্গার রসে সিক্ত প্রোষিতভর্তৃকা।

  • রচনাকাল ও স্থান:   গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই  (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪১) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানের একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ১ মাস।

  • গ্রন্থ:
    • গানের মালা
      • প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। ২৭। মেঘ-মল্লার-ত্রিতালী
      • নজরুল রচনাবলী। ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। গানের মালা। ২৭। মেঘ-মল্লার-ত্রিতালী। পৃষ্ঠা ২০৮-২০৯]
  • রেকর্ড:
    • এইচএমভি [জুলাই ১৯৩৪ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪১)। পি ১১৭৮৯। শিল্পী: আঙ্গুরবালা] [শ্রবণ নমুনা]
    • টুইন [জুন ১৯৩৫ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪২)। এফটি ৩৯৭৭। শিল্পী: আঙ্গুরবালা।]
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, সপ্তদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট আষাঢ়, ১৪০৩/ জুন, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ। ১৯ সংখ্যক গান।] [নমুনা]
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।