বাঁধিয়া দুইজনে দুঁহু ভুজ বন্ধনে কাঁদিছে শ্যাম রাই (badhiya duijone dui bhuj bondhone)

বাঁধিয়া দুইজনে দুঁহু ভুজ বন্ধনে কাঁদিছে শ্যাম রাই।
মিলনের মাঝে এত বেদনা যে বাজে গো 
 দেখি নাই, শুনি নাই॥
সাগরে মিশে নদী, তবু কাঁদে নিরবধি, বুঝি না কেন গো 

বুকে যত পায়, তত তৃষ্ণা বেড়ে যায়, সাধ মেটে না যেন গো॥
সাধ কি মেটে গো চাঁদকে হেরে চকোরিনীর সাধ কি মেটে গো 

মেঘ দেখে চাতকিনীর সাধ কি মেটে গো।
হের, নব নাগরি নব নাগর মাতিল প্রেম-রসে,
নব প্রভাত-কমলে যেন বন ভ্রমর বসে।
নব সোনার শতদলে যেন নব মেঘের ছায়া
কনকমালা ঘিরিল যেন বন নীল গিরি কায়া।
গিরিধারীরে ধরিল, ধিরিধিরি রাধা গিরিধারীরে ধরিল॥
আধ অধরে ধরে নাক' হাসি, আধ-অধরে বাঁশি,
হেরি' আধ অঙ্গ দাস হতে চায়, আধ অঙ্গ দাসী;
শ্রীচরণ ঘিরিয়া মন মধুকর গাহে, চরণাম্বুজ-রজ মাধুকরী চাহে॥
বলে, ভিক্ষা দাও, ভিক্ষা দাও 

ওই চরণ কমল-মধু ভিক্ষা দাও, ভিক্ষা দাও,
ঐ যুগল-রূপ রাধা-শ্যাম দেখি যেন অবিরাম (ভিক্ষা দাও, ভিক্ষা দাও)
আমি আনন্দ-যমুনা হয়ে, চরণ ধুয়ে যাব বয়ে, (ভিক্ষা দাও, ভিক্ষা দাও)
আমি নিত্য হৃদি-ব্রজধামে
হরিব মোর রাধা-শ্যামে, (ভিক্ষা দাও, ভিক্ষা দাও)॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪০ (শনিবার ১৩ পৌষ ১৩৪৭) কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে 'যুগল মিলন' গীতিচিত্র প্রচারিত হয়েছিল। এই গীতিচিত্রে এই গানটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৭ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংখ্যা ৬৫৫। পৃষ্ঠা: ১৯৯ ]
    • নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, আটচল্লিশতম খণ্ড। স্বরলিপিকার: ইদ্‌রিস আলী। [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, কার্তিক ১৪২৬। নভেম্বর ২০১৯। পৃষ্ঠা:  ৬০-৬৭]  [নমুনা]
  • বেতার
    • যুগল মিলন (গীতিচিত্র)।
      • প্রথম প্রচার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র। [ ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪০ (শনিবার ১৩ পৌষ ১৩৪৭)।  তৃতীয় অধিবেশন। ৮.০০-৮.৩৯।
      • সূত্র:
        • বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ ২৪শ সংখ্যা।পৃষ্ঠা: ১৩৩৬
        • The Indian Listener 1941-Vol-V-24  page 1627
      • দ্বিতীয় প্রচার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র [১৪ মার্চ ১৯৪২ (শনিবার ৩০ ফাল্গুন ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৭.৩০।
        • সূত্র: The Indian Listener 1942-Vol-VII-5 page 83
  • রেকর্ড: এচএমভি [এপ্রিল ১৯৪২ (চৈত্র-১৩৪৮-বৈশাখ ১৩৪৯)। এন ২৭২৬৩। শিল্পী: ইলা ঘোষ। সুর: নজরুল ইসলাম]
    •  
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
    • ইদ্‌রিস আলী। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত গানের [ শিল্পী: ইলা ঘোষ] সুরানুসারে স্বরলিপিটি নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি আটচল্লিশতম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। [নমুনা]
       
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন ধর্ম, বৈষ্ণব]
    • সুরাঙ্গ: কীর্তনাঙ্গ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।