কীর্তন গায় ছুচুন্দর, হুতুম প্যাঁচা বাজায় খোল (kirton gay chhuchondor, hutum pyancha bajay khol)

'ছুচোর কীর্তন’
কীর্তন গায় ছুচুন্দর, হুতুম প্যাঁচা বাজায় খোল।
ছাতার পাখি দোহার গায় গোলেমালে হরি বোল্‌॥
কিচির-মিচির কিচির-কিচ্‌ ইঁদুর বাজায় মন্দিরা,
তানপুরা ঐ বাজায় ব্যাং ওস্তাদের সম্বন্ধীরা।
শালিক বায়স ভক্তদল হরিবোলের লাগায় গোল॥
হুলো বেরাল মিয়াঁও ম্যাঁও করছে শুরু খেয়াল-গান,
ব্যা-এ্যা-এ্যা-এ্যা পুং অজ মারছে জলদ হলক-তান।
রাসভ গলা ভাঙ্‌ল তার ধ্রুপদ গেয়ে খেয়ে ঘোল॥
টপ্‌পা গানের ঝাড়ছে তান চিঁহিঁহিঁ হিঁহিঁহিঁ অশ্বরাজ,
ঠুংরি গানের ঝট্‌কা-তান মার্‌ছে ফড়িং ঝোপের মাঝ।
খাণ্ডার্‌ বাণী ধ্রুপদ গায়্‌ বলদ গিয়ে পিজরাপোল॥
লেড়ি কুকুর বাউল গায় পুচ্ছ তুলি’ উচ্চ মুখ,
ভাটিয়ালি-গান শেয়াল গায় ভীষণ শীতের ভুলতে দুখ।
গাব্‌-গুবাগুব্‌ ‘কুক’ পাখি বাজায়, ভুতুম বাজায় ঢোল॥
কিচির্‌-মিচির কিচির্‌ কিচ্‌ ইঁদুর বাজায় মন্দিরা,
তানপুরা ঐ বাজায় ব্যাং ওস্তাদের সম্বন্ধীরা।
ছাতার পাখি দোহার গায় গোলেমালে হরি বোল্‌॥১

১. শেষের পংক্তির পাঠান্তর আছে: ধরা গলায় মহিষ গায় যেন বুড়ো খাঁ সাহেব,
কাবুলিওয়ালা বেহাগ গায় 'মোর মগরা' খেয়ে শেব্
ভেড়া বলে, 'কণ্ঠ মোর গেছে ধ'রে খেয়ে ওল॥    

  • রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত 'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • চন্দ্রবিন্দু
      • প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। চন্দ্রবিন্দু। কমিক গান। শিরোনাম: ছুঁচোর কীর্তন। পৃষ্ঠা: ২০৯-২১০]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।