কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু (kushum-shukumar shyamol tonu)
নাটক: 'সাবিত্রী', রাগ: সিন্ধু-কাফি, তাল: কাহারবা
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম।
বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম॥
পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায়
দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম
এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর
মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম॥
- ভাবসন্ধান: মন্মথ রায়-কর্তৃক রচিত 'সাবিত্রী' নাটকে সাবিত্রী ও আশ্রম বালিকারা এই গানে কৃষ্ণর বন্দনা এবং সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করেছেন। তাঁরা কৃষ্ণের রূপ বন্দনা করেছেন কুসুম-সুকুমার শ্যামল দেহধারী হিসেবে। তাই এঁদের কাছে কৃষ্ণ হয়ে উঠেছেন রূপকল্পের উপমায় 'ফুল-দেবতা', বৃন্দাবনের 'ফুল-কিশোর'। এঁদের কামনা কৃষ্ণের অলৌকিক মহিমায় জগৎ হয়র উঠুক কল্যাণ-ধাম।
এঁদের কামনা, কৃষ্ণের কিশোর হাসি ছড়িয়ে পড়ুক বৃক্ষ-লতাপাতায়। কৃষ্ণের শুভ বরে জগৎ হয়ে উঠুক কুসুম-সুন্দর, হোক নিখিল নয়নাভিরাম। এই কামনায় তাঁরা কৃষ্ণের পায়ে পূজার অর্ঘ নিবেদন করেছেন পরম অনুরাগিণী হয়ে। তাঁদের কামনা এই ফুল কিশোরের বরে এই বিশ্ব হয়ে উঠুক এক বিপুল পুষ্পমন্দির। তাঁদের প্রার্থনা মুরলী হাতে গোলক-বিহারী কৃষ্ণ তাঁদের দর্শন দিন। যদেন তাঁর আবির্ভাবে ভূ-লোক হয়ে উঠুক আনন্দ-ধাম।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। জয়তী পত্রিকার 'পৌষ-মাঘ ১৩৩৭' (ডিসেম্বর ১৯৩১) সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৭ মাস।
- গ্রন্থ:
- সাবিত্রী
- মন্মথ রায়-কর্তৃক রচিত নাটক। [১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ মঞ্চস্থ হয়েছিল। তৃতীয় অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্য। শাশ্বতী ও আশ্রম বালিকাগণের গান। ]
- মন্মথ রায় নাট্যগ্রন্থাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [জগদ্ধাত্রী পূজা ১৩৫৮। ২৫শে নভেম্বর ১৯৫১। সাবিত্রী। তৃতীয় অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্য। শাশ্বতী ও আশ্রম বালিকাগণের গান]
- চন্দ্রবিন্দু
- প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। চন্দ্রবিন্দু। ২৮। সিন্ধু-কাফি-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ১৭৭]
- বনগীতি
- প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)]। বাগেশ্রী-সিন্ধু-কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৪৮] ।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। ৩১ সংখ্যক গান। বাগেশ্রী-সিন্ধু-কাহারবা। পৃষ্ঠা ১৯৬]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ]। ৪৩০ সংখ্যক গান।
- নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, পঞ্চদশ খণ্ড। স্বরলিপিকার: সুধীন দাশ। নজরুল ইন্সটিটিউট, ভাদ্র ১৪০৩। আগষ্ট ১৯৯৬। পৃষ্ঠা: ৭৪-৭৫ [নমুনা]
- নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, ঊনপঞ্চাশতম খণ্ড । স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, কার্তিক ১৪২৬। নভেম্বর ২০১৯। পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩ [নমুনা]
- পত্রিকা: জয়তী [পৌষ-মাঘ ১৩৩৭ (ডিসেম্বর ১৯৩১-জানুয়ারি ১৯৩২)]
- রেকর্ড: এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৩ (পৌষ-মাঘ)। এন ৭০৭২ শিল্পী: মাণিকমালা।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- সুধীন দাশ। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত গানের [শিল্পী: মাণিকমালা] সুরানুসারে স্বরলিপিটি নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি পঞ্চদশ খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। [নমুনা]
- ইদ্রিস আলী। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত গানের [শিল্পী: মাণিকমালা] সুরানুসারে স্বরলিপিটি নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি ঊনপঞ্চাশতম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব সঙ্গীত। কৃষ্ণ। প্রার্থনা
- সুরাঙ্গ: রাগাশ্রয়ী
- রাগ: বাগেশ্রী-সিন্ধু
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা
- সাবিত্রী