ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিণী (bhobani shibani doshoprohorodharini)

নাটিকা: ‘শ্রীমন্ত', রাগ : ভৈরবী, তাল : ঝাঁপতাল

ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিণী
দুখ-পাপ-তাপ হারিণী ভবানী॥
কলুষ-রিপু-দানব-জয়ী
জগৎ-মাতা করুণাময়ী
জয় পরমাশক্তি মাতা ত্রিলোকধারিণী॥

  • ভাবার্থ: এটি মূলত দুর্গার বন্দনা। জগতের অধির্তী শিবপত্নী (দুর্গা) দশ হাতে দশ-অস্ত্র-ধারণী, যিনি সকল দুঃখ-তাপ হরণকারিণী। যিনি পাপমতি দানব জয়ী এবং করুণাময়ী জগৎমাতা। ত্রিলোকধারিণী সেই মাতৃরূপী পরমাশক্তি দুর্গার জয়ধ্বনি দিয়ে গানটির সমাপ্তি টানা হয়েছে।
     
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২) মাসে এইচএমভি গানটির রেকর্ড করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ৯৪৫ সংখ্যক গান। নাটিকা: ‘শ্রীমন্ত', রাগ : ভৈরবী, তাল : ঝাঁপতাল । পৃষ্ঠা: ২৯০।
  • রেকর্ড:
    • এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২)]। শ্রীমন্ত। রেকর্ড নাটক। এন ৭৪২৪। শ্রীমন্তের গান। শিল্পী: হরিমতী।
       
  • ভাঙাগান: মূলগানটি রচনা করেছিলেন- বেতিয়া ঘরনার মহারাজা আনন্দকিশোর। ঝাঁপতালে নিবদ্ধ মূলগানটি চারতুক বিশিষ্ট এবং সুরাঙ্গের বিচারে ধ্রুপদ।

ভৈরবী-ঝাঁপতাল
ভবানী দয়ানী মহাবাক বাণী
সুরনর জনমানী সকল ফলদানী॥
জগজননী জগমানী, মহিষাসুরমর্দিনী
জ্বালমুখী চণ্ডী অমরপদদানী॥
আগম-নিগম-বেদ-বরনি অশুভ-হরণি
ধ্যাওত রহত নিত করোজোরি শূলপাণি,
'আনন্দকিশোর' মাতু আনন্দরূপিণী
দেহ ভকতি আনন্দ-বরদানী॥

[বাণীসূত্র। 'ভবানী দয়ানী/বিনয় চক্রবর্তী। পৃষ্ঠা: ৯৫-৯৭] [স্বরলিপি]

পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতেখণ্ডেজির হিন্দুস্তানী সঙ্গীত-পদ্ধতি  [তৃতীয় খণ্ড। সম্পাদনা। ধরিত্রী রায় ও অসীম কুমার চট্টোপাধ্যায়। দীপায়ন। তৃতীয় সংস্করণ। পৌষ ১৪০৪। পৃষ্ঠা ১০৯-১১১] গ্রন্থে গানটির দুটি তুক স্বরলিপি-সহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উপরের চারতুলের ধ্রুপদের সাথে ভাতখণ্ডেজির গানের বাণীতে পার্থক্য রয়েছে।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।