মাকে ভাসায়ে জলে কেমনে রহিব ঘরে (maa ke bhashaye jole kemone rohibo ghore)

মাকে ভাসায়ে জলে কেমনে রহিব ঘরে।
শূন্য ভুবন শূন্য ভবন কাঁদে হাহাকার ক’রে॥
মা যে নদীর ঢেউ-এর মত,
পালিয়ে বেড়ায় অবিরত
হৃদয়-ঘাটে একটু তেকে অমনি সে যায় স’রে॥
বিসর্জনের প্রতিমা এ নয়
(এরে) নিত্য কাছে রাখতে সাধ হয়
পাষঅণ উতল ঘিরে রে ভাই বেঁধে ভক্তি ডোরে॥
সে মাকে মোর ভাসিয়ে নদীর জলে
মাতৃহারা শিশুর মত কাঁদি ‘মা মা’ বলে
তেমন সুদিন আসবে কবে
(মোর) নিত্য আগমনী হবে বিশ্ব চরাচরে॥১

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বেতারজগৎ পত্রিকার '১৬ অক্টোবর ১৯৩৯' (বুধবার ১ কার্তিক ১৩৪৬) সংখ্যায় কাজী নজরুল ইসলামের রচিত 'বিজয়া' নামক গীতি-আলেখ্য প্রচারিত হয়েছিল। এই গীতি-আলেখ্যে এই গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ৪০ বৎসর ছিল ৫ মাস।
     
  • বেতার:
    • বিজয়া। সঙ্গীতালেখ্য। কলিকাতা-ক। প্রথম অধিবেশন। ২২শে অক্টোবর, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ  (রবিবার, ৫ কার্তিক ১৩৪৬),  সকাল ৯-৯.৪৪ মিনিট]।
              [সূত্র:
      • বেতারজগৎ। ১০ম বর্ষ ২০শ সংখ্যা। বিজয়া দশমী [১৬ অক্টোবর ১৯৩৯' (বুধবার ১ কার্তিক ১৩৪৬) সংখ্যা]
      • The Indian Listener, Vol IV. No 20, 22 October, 1939, Page :  1439]
         
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ। ২০৬8 সংখ্যক গান] 
  • পত্রিকা: বেতার জগৎ। ১০ম বর্ষ ২০শ সংখ্যা। মানুষের গান। পৃষ্ঠা ৭৬৬
     
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • সুরকার: নজরুল ইসলাম
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [হিন্দুধর্ম, শাক্ত]
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
    • তাল: দাদরা
    • গ্রহস্বর: সা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।