মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা।

মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা।
সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা॥
        আঁধার-অসুর-বক্ষপানে
        অরুণ আলোর খড়্গ হানে,
মহাকালের ডম্বরুতে উঠল বেজে মা-র মহিমা॥
সৃষ্টিপ্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে,
গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে।
লক্ষ গ্রহের মুণ্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ
বজ্র-ভেরির ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ,
অগ্নিশিখায় ঝলকে ওঠে খড়্গ-ঝরা লাল শোণিমা॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১) টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ৩৫ বৎসর ছিল ৩ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • গানের মালা
      • প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। ৪৭। দরবারি-কানাড়া-মিশ্র-রূপক।
      • নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। গানের মালা। ৪৭। দরবারি-কানাড়া-মিশ্র-রূপক। পৃষ্ঠা ২২০-২২১]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২০৭৬। রাগ: মালকোষ, তাল: রূপক। পৃষ্ঠা: ৬২৫]
  • রেকর্ড:
    • টুইন [সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ ( ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১)। এফটি ৩৫০৪। শিল্পী: রণজিত মণ্ডল] [শ্রবণ নমুনা]
       
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন হিন্দুধর্ম, শাক্ত]
    • সুরাঙ্গ:  রাগাশ্রয়ী
    • রাগ: মালকোষ
    • তাল: রূপক
    • গ্রহস্বর:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।