মুরলীধ্বনি শুনি ব্রজনারী (muroli dhoni shuni brojonari)

মুরলীধ্বনি শুনি ব্রজনারী
যমুনা-তটে আসিল ছুটে
কুল মান যৌবন দিল চরণে ডারি॥
পবন গতিহীন রয়ে
যমুনা উজান বহে
বাঁশরি শুনি’ বিসরে গীত ময়ূর ময়ূরী শুক সারি॥
চকিত হয়ে ধেনুগণ তৃণ নাহি পরশে
গলিয়া পড়ে মেঘ সুর শুনি হরষে।
যেভুল আহিরিণী
চেয়ে থাকে উদাসিনী
বাঁশরি শুনি পাশরি গেল নিভে গাগরিতে বারি॥ 

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে  (পৌষ-মাঘ ১৩৪৪), এইচএমভি  ইন্দুরানী সেনগুপ্তের কণ্ঠে গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিল। রেকর্ডটি পরে বাতিল হয়ে যায়। এই সময় নজরুলের বয়স ৩৮ বৎসর ছিল ৭ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২০৮৩। নাটক: বিষ্ণুপ্রিয়া। পৃষ্ঠা: ৬২৭]
    • নজরুলের হারানো গানের খাতা [নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন ১৯৯৭। গান সংখ্যা ১৬। for Indrani Sengupta। ভজন-সাদ্রা। পৃষ্ঠা ৪২]
  • বেতার: হরপ্রিয়া (গীতি আলেখ্য: কাফি ঠাটের রাগ)। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। [৫ ডিসেম্বর  ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ (মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৭.০৫-৭.৪৯।
    •  সূত্র:
      • বেতার জগৎ। ১০ম বর্ষ ২৩ সংখ্যা। অনুষ্ঠান সূচী। পৃষ্ঠা: ৯১৭
      • The Indian Listener (22 november 1939- Vol-IV-23. page 1627)
  • রেকর্ড: এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৮ (পৌষ-মাঘ ১৩৪৪)। শিল্পী: ইন্দুরানী সেনগুপ্ত। রেকর্ডটি পরে বাতিল হয়ে যায়]
     
  •  ভাঙাগান: এটি একটি ভাঙা গান। মূল গানটি জানকী দাসের রচিত।

            সিন্ধু-ঝাঁপতাল
মুরিলী ধুনি শুনি এরী মাই যমুনা তীর
তব সোঁ হম তন মন যোবন সোঁ বিকাই॥

পবন গতি হীন ভই যমুনা উজান বহে
বিসর গেই গবন শুক সারি হমারী প্যারী॥

খগিত ভই মীন গউ তৃণ ন চরাবে পুন
বছবা ন পিয়ে স্তন ঐসী শুনাই।
ছৈল গরডোরি লগাবে ব্রজনারী
জল ভরন ভুল গেই ঠাড়ি সখিরি রোই॥


[সূত্র: রবীন্দ্রসঙ্গীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা ৩য় খণ্ড/প্রফুল্লকুমার দাস। পৃষ্ঠা ৫১।]

উল্লেখ্য, সঙ্গীত-প্রকাশিকা পত্রিকার 'পৌষ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় এই গানের সুরে রবীন্দ্রনাথের ‌চরণধ্বনি শুনি তব নাথ' গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৬ বৎসর। বর্তমানে গানটি গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩৯৯ সংখ্যক গান হিসেবে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ গানটিতে স্বরচিত বাণী ব্যবহার করেছিলেন। পক্ষান্তরে নজরুল গানটির প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ করেছিলেন।

  • [মূল গান শ্রবণ নমুনা] শিল্পী: আরতী মুখোপাধ্যায়
     
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব]
    • সুরাঙ্গ: সাদ্রা
      • রাগ: স্বরলিপিতে রাগের নাম সৈন্ধবী লেখা আছে। মূলত এই রাগটি দক্ষিণ ভারতের খরহরপ্রিয়া (উত্তর ভারতীয় মতে কাফি) মেলের অন্তর্গত একটি রাগ। মূল গানের অনুসরণে দেখা যায়, গানটি উত্তর ভারতীয় কাফি রাগে নিবদ্ধ
      • তাল: ঝাঁপতাল
      • গ্রহস্বর: জ্ঞ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।