মোর ভুলিবার সাধনায় কেন সাধ বাদ (mor bhulibar sadhonay keno sadh bad)

মোর ভুলিবার সাধনায় কেন সাধ বাদ।
কেন নিরাশা-আঁধারে জ্বালো আশার চাঁদ॥
যে প্রেম লভিয়াছে সমাধি,
কি হবে সেথায় আর কাঁদি’,
বাঁচিবে না নয়নের জলে সে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যার সুখ-সাধ॥
যে তরুর কাটিয়াছ মূল, কেন ফুল সেথা চাও,
নির্জন অরণ্যে বিরহ-তাপে তা’রে শুকাইতে দাও।
শুভ লগ্নের ক্ষণ ভুবনে
একবার আসে শুধু জীবনে,
ব’য়ে গেছে সেই শুভ দৃষ্টির শুভক্ষণ আর পাইব না তব আঁখির প্রসাদ॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা গ্রন্থে রেকর্ড প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করেছেন -

'সেনোলা, ১৯৪০। শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস। (সূত্র-'ব্রত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গী', দেবব্রত বিশ্বাস)। রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি।'

দেবব্রত বিশ্বাস তাঁর  'ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত' গ্রন্থে লিখেছেন- ১৩৫৯ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ (২৫মে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ),  গানটি বুলবুল দ্বিতীয় খণ্ড অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশিকা হিসেবে নাম ছিল- মিসেস প্রমীলা নজরুল।

"কবে মনে নেই, আমার সহপাঠী সন্তোষ সেনগুপ্ত আমায় 'সেনোলা' রেকর্ড কোম্পানীতে নিয়ে গিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে এবং তার সহকারী চিত্ত রায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।  কাজী নজরুল আমার গান শুনে দুটি গান শিখিয়ে সেনোলা কোম্পানীর হয়ে আমায় দিয়ে দুটি গান রেকর্ড করিয়েছিলেন। একটি গান ছিল- "মোর ভুলিবার সাধনায় কেন সাধো বাদ", আরেকটি গানের কথা ভুলে গিয়েছি। রেকর্ডটি কী কারণে প্রকাশ করা হলো না তাও মনে নেই।"
     [ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত', করুণা প্রকাশনী, কলকাতা, বৈশাখ ১৩৯৪। পৃষ্ঠা: ৫০]

রেকর্ড প্রকাশের তারিখ দেবব্রত মনে করতে পারেন নি। তাই 'সেনোলা, ১৯৪০' তারিখটি গ্রহণ করতে গেলে সংশয় উপস্থিত হয়।

  • গ্রন্থ:
    • বুলবুল দ্বিতীয় খণ্ড
      • প্রথম সংস্করণ [১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৯ বঙ্গাব্দের (রবিবার ২৫ মে, ১৯৫২)।  গান সংখ্যা ২৩]
      • নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। বুলবুল দ্বিতীয় খণ্ড। ২১ । পৃষ্ঠা ২৬৩]
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১৬৯২। রাগ: কাফি, তাল: ত্রিতাল। পৃষ্ঠা ৫০৫]
       
  • রেকর্ড: সেনোলা [তারিখ ?]। শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস। রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি।
    •  সূত্র: ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত', করুণা প্রকাশনী, কলকাতা, বৈশাখ ১৩৯৪। পৃষ্ঠা: ৫০

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।