মোরা চাষ করি এই মাঠের বুকে, চাষ করি এই মাটি। (mora chash kori ei mather buke)
মোরা চাষ করি এই মাঠের বুকে, চাষ করি এই মাটি।
যে মাটির বুকে রহে পাকা সোনার ধানের কাঠি॥
আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে,
মরাই-ভরা থাকবে ওরা আমার ছেলেমেয়ে;
চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আঁটি॥
মেটে ঘরের দাওয়ায় বসে স্বপন দেখি রেতে,
পুবাল্ হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আমন ধানের ক্ষেতে,
সেই মাটির মধু মাঠে আসে হয়ে ভাতের বাটি॥
সেই মাটিকে নিঙ্ড়ে কে আজ রস করে ভাই পান,
সেই মাঠ আজ হয়েছে রে দশ ভূতের বাথান;
মোদের ক্ষুধার অন্ন মদ-গর্বীর জোগায় মদের ভাটি॥
ঘুমের মাঝে চম্কে উঠি, বর্গী এলো দেশে;
পঙ্গপাল দেশ ছেয়েছে, খাজ্না দেবো কিসে?
ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, ধর্ ফিরে তোর লাঠি-
চাষা ছাড়িস্নে তোর ঘাঁটি॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। নয়া জমানা পত্রিকার [মাঘ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯) সংখ্যায় প্রথম প্রকশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৮ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ৩০৭২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৪০।
- পত্রিকা: নয়া জামানা [মাঘ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯)]