যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি আঘাত করেছ (je pashan hani bare bare)
যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি আঘাত করেছ, স্বামী,
সে পাষাণ দিয়ে তোমার পূজায় এ মিনতি রাখি আমি॥
যে আগুন দিলে দহিতে আমারে
হে নাথ, নিভিতে দিইনি তাহারে;
আরতি প্রদীপ হয়ে তারি বিভা বুকে জ্বলে দিবা-যামী॥
তুমি যাহা দাও প্রিয়তম মোর তাহা কি ফেলিতে পারি,
তাই নিয়ে তব অভিষেক করি নয়নে দিলে যে বারি।
ভুলিয়াও মনে কর না যাহারে,
হে নাথ, বেদনা দাও না তাহারে,
ভুলিতে পারো না মোরে ব্যথা দেওয়া ছলে, তাই নিচে আস নামি' ॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৪) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৪ মাস।
- রেকর্ড: টুইন [অক্টোবর ১৯৩৭ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৪)]। এফটি ১২১৩১। শিল্পী: কল্যাণী চট্টোপাধ্যায়। সুর নজরুল ইসলাম] [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, সাতাশ খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। কার্তিক, ১৪১২/অক্টোবর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ২৪ সংখ্যক গান। [নমুনা]
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: গপা