(শাওন ঘোর) রিমিঝিমি রিমিঝিমি বারিধারা বরষে

(শাওন ঘোর) রিমিঝিমি রিমিঝিমি বারিধারা বরষে।
নাচে শিখী শ্যাম ঘন দরশে॥
চমকে বিজলি ঘনঘন
শনশন পূব হাওয়া বহিছে হরষে॥
এসা বিরহী শ্যামল মোর ভবনে
নূপুর শোনায়ে শ্রবণে,
চাহে ফুটিতে এ হিয়া নীপ সম –
তব মধুর সজল পরশে॥

  • ভাবার্থ: গানটিতে কাঙ্ক্ষিত বর্ষার একটি চিত্ররূপ ফুটে উঠেছে। এ গানে বর্ষার খণ্ড খণ্ড চিত্রের সাথে চিত্রিত হয়েছে কবির বর্ষাপ্রীতি।

    শ্রাবণ মাসের বর্ষণ- বৃষ্টির রিমিঝিমি রিমিঝিমি মধুর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে। শ্যামঘন বনভূমি দেখে ময়ূর নৃত্যানন্দে মেতে ওঠে। ঘন ঘন বিজুলি চমকায়, পুবালি বাতাস সানন্দে বয়ে যায় প্রকৃতিকে স্নিগ্ধ করে।

    এতদিন বর্ষার বিরহে কবির মনের ঘর ছিল রিক্ত। বর্ষার রিমিঝিমি রিমিঝিমি নূপুর ধ্বনির আকাঙ্ক্ষায় উন্মখ ছিলেন কবি। বর্ষার মধুর সজল স্পর্শে কদম কলির মতই কবির মনও প্রস্ফুটিত হতে চায়। তাই কবি শ্যমল বর্ষাকে সাদরে সাগ্রহে বরণ করে নিয়েছেন এই গানে। 
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি পাওয়া যায় নজরুলের হারানো গানের খাতায় সংগৃহীত পাণ্ডুলিপিতে। 
     
  • গ্রন্থ
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট,মাঘ,১৪১৭ / ফেব্রুয়ারি,২০১৪)। ২৫৬৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৭৮৭।
    • নজরুলের হারানো গানের খাতা [নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন ১৯৯৭। গান সংখ্যা ৯। ছায়া-তেতালা। পৃষ্ঠা ৩৫।]
  • পর্যায়:
    • বিষায়াঙ্গ: প্রকৃতি, বর্ষা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।