লায়লী তোমার এসেছে ফিরিয়া (layli tomar eshechhe firiya)
লায়লী তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো আঁখি খোলো।
প্রিয়তম! এতদিনে বিরহের নিশি বুঝি ভোর হলো॥
মজনুঁ! তোমার কাঁদন শুনিয়া মরু-নদী পর্বতে
বন্দিনী আজ ভেঙেছে পিঞ্জর বাহির হয়েছে পথে।
আজি দখিনা বাতাস বহে অনুকূল,
ফুটেছে গোলাপ নার্গিস ফুল,
ওগো বুলবুল, ফুটন্ত সেই গুলবাগিচায় দোলো॥
বনের হরিণ-হরিণী কাঁদিয়া পথ দেখায়েছে মোরে,
হুরী ও পরীরা ঝুরিয়া ঝুরিয়া চাঁদের প্রদীপ ধ'রে।
আমার নয়নে নয়ন রাখিয়া
কি বলিতে চাও, হে পরাণ-পয়া!
নাম ধ'রে ডাকো, ডাকো মোরে স্বামী
ভোলো অভিমান ভোলো॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৫) এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৮ মাস।
- রেকর্ড:এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৫)। এন ১৭২৫৪। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ। সুর: কমল দাশগুপ্ত]
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ ও ব্রহ্মমোহন ঠাকুর [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, অষ্টম খণ্ড নজরুল ইন্সটিটিউট ১২ ভাদ্র, ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ/ ২৭ আগষ্ট, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দ। ২০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৪-৯৭] [নমুনা]
- সুরকার: কমল দাশগুপ্ত।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা