গেরুয়া-রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায় (gerua-rong metho pothe banshori bajiye k jay)
গেরুয়া-রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়।
সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়।
আহা ভূঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়॥
সুর শুনে তার সাঁঝের ঠোঁটে,
বাঁকা শশীর হাসি ফোটে,
গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা-মাটির আবির ছড়ায়।
তারা রাঙা-মাটির আবির ছড়ায়॥
গগন-গোঠে গ্রহ-তারা
সে সুর শুনে দিশেহারা
হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়॥
জল নিতে নদী কূলে
কুলবালা কূল ভূলে
সন্ধ্যা-তারা প্রদীপ তুলে' বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।
তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় (জুলাই ১৯৩২) মাসে প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৬৯ সংখ্যক গান। বাউল- নবতাল। পৃষ্ঠা ২৬৫-২৬৬]
- রেকর্ড: এইচএমভি [আগষ্ট ১৯৩৪ (১৬ শ্রাবণ-১৫ ভাদ্র ১৩৪১)। নম্বর এন ৭২৬১। শিল্পী: শ্রীমতী গোপাল সেন।
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: আসাদুল হক। নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি (চতুর্থ খণ্ড)। দ্বিতীয় মুদ্রণ [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। অগ্রহায়ণ ১৪০২। নভেম্বর ১৯৯৫। ২১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১০৩-১০৮] [নমুনা]
- পর্যায়:
- সুর-সাকী