শ্মশানে জাগিছে শ্যামা

রাগ: কৌশী, তাল: ত্রিতাল
শ্মশানে জাগিছে শ্যামা
        অন্তিমে সন্তানে নিতে কোলে
জননী শান্তিময়ী বসিয়া আছে ঐ
        চিতার আগুন ঢেকে স্নেহ-আঁচলে॥
সন্তানে দিতে কোল ছাড়ি' সুখ কৈলাস
বরাভয় রূপে মা শ্মশানে করেন বাস,
কি ভয় শ্মশানে শান্তিতে যেখানে
        ঘুমাবি জননীর চরণ-তলে॥
জ্বলিয়া মরিলি কে সংসারে জ্বালায়
তাহারে ডাকিছে মা 'কোলে আয়, কোলে আয়'
জীবনে শ্রান্ত ওরে ঘুম পাড়াইতে তোরে
            কোলে তুলে নেয় মা মরণেরি ছলে॥           

  • রচনাকাল ও স্থান:   গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর  (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৪) মাসে, এইএচএম রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৪ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট, মাঘ ১৪১৭, ফেব্রুয়ারি ২০১১) নামক গ্রন্থের ১৬৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫১-৫২।
    • বেণুকা, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৩। জুন ২০০৬) -এর ৩০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৭৪-৭৫।
    • একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, প্রথম খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, পৌষ ১৪০৬। জানুয়ারি ২০০০) -এর ৩৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৩-৯৪।
  • পত্রিকা:
    • ভারতবর্ষ [শ্রাবণ ১৩৪৫ (জুন-জুলাই ১৩৩৮)। কৌশিক-তেতালা। কথা ও সুর: নজরুল ইসলাম। স্বরলিপি: জগৎ ঘটক। পৃষ্ঠা: ২০৫-২০৬]
    •  [নমুনা]
       
    • রেকর্ড: এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৭ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৪)। এন ৯৯৭৪। শিল্পী জ্ঞান গোস্বামী। সুর নজরুল] [শ্রবণ নমুনা]
  • সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
  • স্বরলিপিকার:
  • বিষয়াঙ্গ:
    • পর্যায়:ভক্তি [হিন্দু, শাক্ত]
    • সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
      • রাগ: কৌশী/কৌশিক।
        এই রাগ আশাবরী  ঠাটের ন্যায় ; জাতি খাড়ব−সম্পূর্ণ। বাদী − মধ্যম। এই রাগে মালকোষের  অঙ্গ বেশী দেখা যায় এবং যেখানে 'পঞ্চম' লাগান যায় সেখানে ধানেশ্রীর  অঙ্গ ফুটে ওঠে। এর অন্য নাম কৌশী, কোঁশী ইত্যাদি। আরোহী - ণ্‌ সা জ্ঞা মা পা মা, দা ণা র্সা। অবরোহী - র্সা ণা দা মা, পা মা, জ্ঞা রা সা ॥ ভিন্ন মতে এই রাগ কাফি  ঠাটের, কিন্তু তখন এর নাম কৌশিকী কানাড়া । ইহাতে কানাড়া এবং মালকোষের  সংমিশ্রণ থাকে।  কৌশিকী কানাড়া এদেশ অপ্রচলিত নয়।
    • তাল: ত্রিতাল
    • গ্রহস্বর: সা।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।