সখি বল্ কোন্ দেশে যাই (sokhi bol kon deshe jai)

সখি বল্ কোন্ দেশে যাই।
সে বৃন্দা আছে সে বন আছে তবু সে বৃন্দাবন নাই 

গোবিন্দ বিনে লো বৃন্দে (বৃন্দে গো) রাধার বৃন্দাবন হয়েছে আঁধার।
বনে সীতার ছিল যে রাম, মোর বনে নাই ঘনশ্যাম।
আমি কি লয়ে থাকি, কেন দেহ রাখি।
পিঞ্জর আছে প'ড়ে, নাই শ্যাম পাখি,
আর ময়ূর ডাকে না 'কে গো' বলিয়া।
পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
কৃষ্ণ প্রিয়া গো 'প্রিয়া প্রিয়া' বলে পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
পথে পথে আর রহে না গো ব্রজগোপিনী আড়ি পাতিয়া।
আজি রাধার সাথে সবার আড়ি,
কৃষ্ণ প্রিয়ার কৃষ্ণ গেছে ছাড়ি'
তাই রাধার সাথে সবার আড়ি, সখি গো 

শুকায়ে গিয়াছে দ্বাদশ কুঞ্জ,
পূর্ণ চাঁদেরি ব্রজে একাদশীর তিথি,
হয়ত আবার বাজিবে বেণু তার রবে না ব্রজে যবে রাধার স্মৃতি॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের  সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৮) মাসে, হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ৩ মাস।
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৫৩৪। পৃষ্ঠা: ১৯২-১৯৩। 
     
  • রেকর্ড: হিন্দুস্তান [সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৮)]। এইচ ৯৪৭। শিল্পী: কুমারী গৌরী বসু] [শ্রবণ নমুনা]
     
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্‌রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা] ২৩ সংখ্যক গান। [নমুনা]
     
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।