সখি যায়নি ত শ্যাম মথুরায় (sokhi jayni to shyam mothuray)

সখি যায়নি ত শ্যাম মথুরায়,
আর আমি কাঁদব না সই।
সে যে রয়েছে তেমনি ঘিরে আমায়।
মোর অন্তরতম আছে অন্তরে অন্তরালে সে যাবে কোথায়?
আছে ধেয়ানে স্বপনে জাগরণে মোর নয়নের জলে আঁখি-তারায়॥
কে বলে সখি অন্ধকার, এ বৃন্দাবনে কৃষ্ণ নাই, সখি গো'
আমি অন্তরে পেয়েছি লো, বাহিরে হারিয়ে তায়,
যাক্‌ না সে মথুরায়, যেথা তা'র প্রাণ চায়॥
শ্যামে হেরিয়াছি যমুনার কালো জলে, সাগরে,
আষাঢ়ের ঘন মেঘে হেরিয়াছি নাগরে।
হেরিয়াছি তায় শ্যাম-শস্যে হেমন্তে,
পীত-ধড়া হেরি তায় কুস্‌মি বসন্তে॥
এঁকেছিলাম শ্যামের ছবি সেদিন সখি খেলার ছলে,
আঁকিনি লো চরণ তাহার, পালায়ে সে যাবে ব'লে।
আনিয়া দে আজ সে চিত্রপট আঁকিব লো আজ চরণ তা'রে,
সে যায়নি মথুরা কাঁদিস নে তোরা আছে আছে শ্যাম হৃদে আমার॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৩ বঙ্গাব্দের নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪০) মাসে, মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর  ৫ মাস।
  • গ্রন্থ:
    • গীতি-শতদল  
      • প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪। কীর্তন]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১।  গীতি-শতদল।  গান সংখ্যা ৭৮। কীর্তন। পৃষ্ঠা ৩২৮]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০৪২। তাল: কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৯৩১-৯৩২]
  • রেকর্ড:
    • মেগাফোন [নভেম্বর ১৯৩৩ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪০)। জেএনজি ৮০। শিল্পী: শ্রীমতী সাধনা দেবী। ]
    • এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৪ (পৌষ-মাঘ ১৩৪০)। জেএনজি ৭১৮৫। শিল্পী: মিস হরিমতী]
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্ম সঙ্গীত [সনাতন হিন্দু ধর্ম, বৈষ্ণব]
    • সুরাঙ্গ: কীর্তন
    • তাল: তালফেরতা [কাহারবা-দাদরা]
    • গ্রহস্বর:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।