হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’ (hay hay uthilo matom)
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’।
আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’ ॥
অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো
আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো
আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি
শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’॥
তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়;
বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়!
বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার,
তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার';
হায় কাণ্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী॥
- রচনাকাল ও স্থান:গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৩) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংখ্যা ৯০৩। বৈতালিক। পৃষ্ঠা: ২৭৮]
- রেকর্ড: টুইন [জুন ১৯৩৬ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৩)। এফটি ৪৪০০। শিল্পী: আব্দুল লতিফ। সুর: নজরুল ইসলাম] শিরোনাম: ফাতেহা-ই-দোয়াজদহম (তিরোভাব) [শ্রবন নমুনা]
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- এস.এম. আহসান মুর্শেদ। নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি (৩৬শ খণ্ড) [আষাঢ়, ১৪২১ বঙ্গাব্দ/ জুন, ২০১৪। নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা]। রেকর্ডে আব্দুল লতিফ-এর গাওয়া গানের সুরাবলম্বনে সুর করা হয়েছে [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [ইসলামী গান
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল: বৈতালিক
- গ্রহস্বর: ধপা