হাসিয়া মরি রাই কৃষ্ণ শ্যাম নাই যাবি হেন কোন দেশে।

হাসিয়া মরি রাই কৃষ্ণ শ্যাম নাই যাবি হেন কোন দেশে।
সে যে সকল পন্থ দিগ্‌ দিগন্ত আগলি আছে শ্যাম বেশে॥
শুভ্র জ্যোতিরে ঘিরিয়া আছে দেখ্‌ আকাশ হয়ে শ্যাম লাবনি;
অভিমানে ফিরে আসিলে হেরিবি নিম্নে শ্যামময় অবনী।
সবই শ্যামময় শ্যামময় সবই কৃষ্ণময় কৃষ্ণময়
আলোর তৃষ্ণা শেষে হেরিবি সব দেশে – কৃষ্ণময় কৃষ্ণময়
ঊর্ধ্বে কৃষ্ণ নিম্নে কৃষ্ণ – কৃষ্ণময় কৃষ্ণময়।
(ওলো) গৌরী চাঁপার কলি, আর একটি কথা বলি
কৃষ্ণ ছেড়ে যাবি তুই কোথা।
ভাস্বর জ্যোতি যিনি ভাসুর যে হন তিনি
বলরাম আলোর দেবতা।
তুই ফিরে যে আসবি শুভ্র জ্যোতিরূপে
ভাসুরকে দেখে তুই ঘোমটা দিয়ে হাসবি, ফিরে যে আসবি।
সেই ঘোমটার আবরণে আসিবে স্মরণে ঘন শ্যাম বরণে সজনী
আসিবে ফিরে তোর মাধবী কুঞ্জে
সচন্দ্রা রজঃ নয়, সচন্দ্রা রজনী
রজঃগুণের ত্যজিয়া নির্মল সুনীল চাঁদ
আবার আসিবে ফিরে রাধা নাম ভাজিয়া।
রাধা প্রেমে মজিয়া।
বলবে রাধা রাধা
তোমার প্রেমে আমি চির-রাঁধা – রাধা! রাধা! জয় রাধা! রাধা!

  • রচনাকাল ও স্থান:গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই নভেম্বর (শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৩৪৭), কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে অভিমানিনী প্রথম প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৫ মাস।
     
  • গ্রন্থ:  নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২১৩৪। গীতিচিত্র: 'অভিমানিনী'। পৃষ্ঠা: ৫৪৩]
     
  • বেতার:
    • অভিমানিনী (গীতিচিত্র)।
      • প্রথম প্রচার:  কলকাতা বেতারকেন্দ্র-ক, তৃতীয় অধিবেশন। ৯ নভেম্বর ১৯৪০ (শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৩৪৭)। রাত্রি: ৮.০০-৮.৪০ মিনিট]
        • সূত্র:
          • বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ, ২১ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ১১৬২
          • The Indian-listener 1940, Vol V, No 21. page 1665
      • দ্বিতীয় প্রচার: কলকাতা বেতারকেন্দ্র-ক, তৃতীয় অধিবেশন। ২৮ জুন ১৯৪১ (শনিবার ১৩ আষাঢ়। ১৩৪৮)। রাত ৮.০০-৮.৩৯ মিনিট
        • সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ, ১২ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ৭১৪

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।