জাগে না সে যোশ ল'য়ে আর মুসলমান (jage na she josh loye ar musolman)
জাগে না সে যোশ ল'য়ে আর মুসলমান।
হায় করিল জয় যে তেজ ল'য়ে দুনিয়া জাহান॥
যাহার তক্বির ধ্বনি, তক্দির বদলালো দুনিয়ার
না-ফরমানের জামানায় আনিল ফরমান খোদার,
হায় পড়িয়া বিরান আজি সে গুল্-গুলিস্তান॥
নাই সাচ্চাই সিদ্দিকের, উমরের নাহি সে ত্যাগ আর
নাহি আর বেলালের ঈমান, নাহি আলীর জুলফিকার,
হায় নাহি আর সে জেহাদ-লাগি' বীর শহীদান॥
নাহি আর বাজুতে কুওত্, নাহি খালেদ, মুসা, তারেক
নাহি বাদ্শাহী তখ্তে তাউস্, ফকির আজ দুনিয়ার মালেক
হায় ইস্লাম কেতাবে শুধু মুসলিম গোরস্তান॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর (শনিবার ২৯ আশ্বিন ১৩৩৯), 'জুলফিকার' নামক গীতি-গ্রন্থে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- জুলফিকার
- প্রথম সংস্করণ। ১৫ অক্টোবর ১৯৩২ (শনিবার ২৯ আশ্বিন ১৩৩৯)। ভৈরবী-কার্ফা]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৪, মে ২০০৭। জুলফিকার। ৪ সংখ্যক গান। ভৈরবী-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ২৯২
- জুলফিকার
- রেকর্ড: টুইন [নভেম্বর ১৯৩৩ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪০)]। এফটি ২৯৬৯। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ। ] [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ফাল্গুন, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ/ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ] নবম গান। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ-এর গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ফাল্গুন, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ/ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ] নবম গান। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ-এর গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [ইসলামি গান]
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: পা