হায় চির-ভোলা! হিমালয় হতে অমৃত আনিতে গিয়া (hay chiro bhola!)
হায় চির-ভোলা! হিমালয় হতে অমৃত আনিতে গিয়া
ফিরিয়া এলে যে নীলকণ্ঠের মৃত্যু-গরল পিয়া॥
কেন এত ভালো বেসেছিলে তুমি এই ধরণির ধূলি?
দেবতারা তাই দামামা বাজায়ে স্বর্গে লইল তুলি'
- রচনাকাল ও স্থান: 'চিত্তনামা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে- ' হুগলি/৩রা আষাঢ়, ১৩৩২' (বুধবার, ১৭ জুন ১৯২৫)। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৬ বৎসর ১ মাস।
উল্লেখ্য, ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২রা আষাঢ় (মঙ্গলবার, ১৬ জুন ১৯২৫) দার্জিলিঙে চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন। তাঁরই স্মরণে নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সম্পর্কে প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'কাজী নজরুল' গ্রন্থে লিখেছেন- [পৃষ্ঠা: ৬৯] 'দেশবন্ধু যখন মারা যান তখন কবি এই বাড়িতেই ছিলেন। দেশবন্ধুর মৃত্যু সংবাদ শুনে কৰি কয়েক মুহূর্ত নিশ্চল থেকে দশ মিনিটের মধ্যে একটা 'অর্ঘ্য' বলে গান লিখে সুর দিয়ে বিদ্যামন্দিরে এলেন-
গানটি এই-
"হায় চির ভোলা; হিমালয় হতে
অমৃত আনিতে গিয়া..." ... এই গানটি লেখেন ১৩৩২ সালের ৩রা আষাঢ়। দেশবন্ধুর শবাধারে রচনাটি মালার সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল নৈহাটি স্টেশনে।'উল্লেখ্য, ১৮ই জুন (বৃহস্পতিবার ৪ আষাঢ় ১৩৩২) চিত্তরঞ্জন দাশের মরদেহ দার্জিলিং থেকে ট্রেনযোগে নৈহাটি আসে। নজরুল এই গানটি চিত্তরঞ্জন দাশের শবাধারে মালার সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ জুড়ে দিয়েছিলেন।
- গ্রন্থ: চিত্তনামা
- প্রথম সংস্করণ [৪ নভেম্বর ১৯২৫ (১৮ কর্তিক ১৩৩২)। শিরোনাম 'অর্ঘ্য']
- নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, মে ২০১১। চিত্তনামা। শিরোনাম 'অর্ঘ্য'। পৃষ্ঠা ৬৭]