সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌ নে (sokhi go britha probodh dish ne)

সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌ নে
কোন্‌ প্রাণে তুই বলতে পারিলি মোর শ্রীকৃষ্ণে ভুলিতে।
সেই নন্দপুরের চন্দ্র বিহনে নাহি আনন্দ মোর
তারে না হেরিলে তিলেকের তরে বাঁচে না চিতচকোর।
বলে দে বলে দে কোথা আমার প্রাণসখা ভাসি আমি আঁখি-নীরে
কেঁদে কেঁদে অন্ধ হলাম ভাসি আমি আঁখি-নীরে
সখি, এই তো আমার সাধনা
আমার মত জগত কাঁদুক এই ত’ আমার কামনা
কাঁদতে হবে,
যে হরিরে মোর হরিবে তায় রাধার মত কাঁদতে হবে।
সে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে চিরজীবন কাঁদবে ভবে।
সখি কাঁদলে তারে যায় না পাওয়া, তাহলে সখি আমি পেতাম।
যাদি কাঁদলে তারে পাওয়া যেত যশোমতী তারে হারাতো না।
সে যে প্রেমের চিরকাঙাল, প্রেম বিনে তায় যায় না পাওয়া॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম থেকে নজরুল পুরোপুরি নির্বাক ও স্থবির হয়ে গিয়েছিলেন।
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০৩৮। পৃষ্ঠা: ৯৩০]
  • রেকর্ড: কলম্বিয়া [আগষ্ট ১৯৫৬। (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৬৩)। জি ই. ২৪৮০৬]।  শিল্পী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়।
     
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [হিন্দু, বৈষ্ণব]
    • সুরাঙ্গ: কীর্তন

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।