নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া (nobo kisholoy-ranga shojja patiya)
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া
বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া
আমি একেলা জাগি রজনী
বঁধু, এলো না তো কই সজনী,
বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা
বনফুল দিয়া ব্যজনী।
কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট
আমি তুলি আনি' বৃথা রচিনু মুকুট,
মোর হৃদয়ের রাজা এলো না,
আমার হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল
আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই
সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)।
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি,
আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি
হেসে যায় বঁধু আন্ঘরে
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে।
সে-যে পাষাণের মূরতি বৃথা পূজা-আরতি
নিবেদন করি তার পায়:
সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে?
তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)।
আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব, বঁধু হবে কুলবালা
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা,
বিরহিনীর কী যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা।
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪০) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৯ মাস
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ৭০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৩।
- রেকর্ড
- এইচএমভি [মার্চ ১৯৩৪ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪০)]। এন ৭২০২। শিল্পী: গোপাল সেন। সুর: নজরুল ইসলাম
- কলাম্বিয়া [ডিসেম্বর ১৯৪৫ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৫২)]। জিই ২৮৬৬। শিল্পী: উত্তরা দেবী। সুর: নিতাই ঘটক। [শ্রবণ নমুনা]
- বেতার: কলহ। পালা-কীর্তন । কলকাতা-ক। তৃতীয় অধিবেশন। সময়: ৭.৪০-৮.৩৯ [১২ জানুয়ারি ১৯৪১ (রবিবার ২৮ পৌষ ১৩৪৭)।
- সূত্র:
- বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ১ম সংখ্যা। ১লা জানুয়ারি ১৯৪১, (বুধবার, ১৭ পৌষ ১৩৪৭) পৃষ্ঠা: ৪৮
- The Indian-listener 1940, Vol VI, No 1. page 79
- সূত্র:
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ । নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি তৃতীয় খণ্ড। প্রথম প্রকাশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। বৈশাখ ১৪০২। এপ্রিল ১৯৯৬। ২০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৫-৯৯] [নমুনা]
- সুরকার:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তিগীতি (হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব)
- সুরাঙ্গ: কীর্ত্তন।