ওমা পেঁচা যদি খ্যাঁচ খ্যাঁচায়

ওমা পেঁচা যদি খ্যাঁচ খ্যাঁচায় মা মাচায় উঠিয়া বসি,
 বউ যদি হাঁচে ফ্যাঁচ ক'রে ভয়ে কাছা পড়ে খসি।
 ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে (মা) হৃদয় হ'য়েছে ঘুঁটে।
 অঙ্গ কুঁচকে হ'য়েছে পুঁচকে হাত পা হ‌'য়েছে কুটে।
 প্রতি পদে পথে পতনের ভয় আপনি দুই পা নাচে,
 দেখি ভাঁড় ভরা ধেনো মাড় খেয়ে, ষাঁড় পাঁড় হয়ে পড়ে আছে।
 হাত থাকতে হয়েছিস্‌ মাগো শ্রীজগন্নাথ ঠুঁটো,
 পাছে ক্ষুধায় জ্ব'লে ছেলেরা তোর ভাত চায় দু'মুঠো।
 দশ হাত তোর বাতে অবশ কি আর দিবি বল?
 দেবার মধ্যে দিয়েছিস মাগো শুধুই চোখের জল !
 আঁধার রাতি নেইকে| বাতি ঠাকুর দেখবে কে?
 দেওয়ালী তোর জ্ব'লবে সেদিন দেয়াল ভেঙ্গেদে
                                 [মা দেয়াল ভেঙ্গেদে!]
 
 এ মন আঁধারের দেয়াল ভেঙ্গেদে!
 পথ ঘাট আজ তিমির ঘের৷ সর'ছে ঘরের মাল
 ঘরের আলো নিবলো এবার প্রাণের আলো জ্বাল ॥
                                 [মা গো- প্রাণের আলো জ্বাল]

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (ভাদ্র ১৩৪৮), কলকাতার মিনার্ভা মঞ্চে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের রচিত রঙ্গনাটক 'ব্ল্যাক আউট'-এ এই গানটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ৩ মাস।
     
  • মঞ্চনাটক: মিনার্ভা থিয়েটার। আগষ্ট ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (ভাদ্র ১৩৪৮)। ভূতেশ্বরের গান
  • রেকর্ড: এইচএমভি। ১৯৪১ অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক) এন ২৭২০৬। রঞ্জিত রায়

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।