পিয়া পিয়া মোরে ভোলো, ভোলো ভালোবাসা!
পিয়া পিয়া মোরে ভোলো, ভোলো ভালোবাসা!
হেরো উষার বুকে কাঁদে প্রভাতি তারা
তব বেণির মালা ম্লান, সুরভিহারা
আজি ফুরাল ফাগুন এল যাবার বেলা,
ভাঙে ভুলের মেলা, ভাঙে ফুলের খেলা।
পিয়া পিয়া মোরে ভোলো, ভোলো ভালোবাসা॥
তব মৃণাল-ভুজে আর বেঁধো না মোরে
ভীরু চাঁদের মতো আজও হাসি অধরে
অনুরাগের কাজল আঁকি আঁখির তীরে
চাহি মুখের পানে বোলো, ‘আসিয়ো ফিরে’।
পিয়া পিয়া মোরে ভোলো, ভোলো ভালোবাসা॥
ফিরে আসিবে আবার নব চাঁদের তিথি,
মালা তোমারই গলে দেবে নব অতিথি,
রবে তারই বুকে মোর প্রথম প্রণয়
আজি ফুরাল ফাগুন, এল যাবার সময়!
পিয়া পিয়া মোরে ভোলো, ভোলো ভালোবাসা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪১) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত বাসন্তিকা রেকর্ড নাটিকার সাথে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৮ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি। বাসন্তিকা রেকর্ড নাটিকা। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ (মাঘ- ফাল্গুন ১৩৪১)। এন ৭৩৩৬। শিল্পী: কমল দাশগুপ্ত
- বেতার: বাসন্তীকুঞ্জ [সঙ্গীতানুষ্ঠান] কলকাতা বেতার কেন্দ্র। [২৭শে এপ্রিল ১৯৪০ (শনিবার ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭)] সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৭.১৫-৭.৪৪।
[সূত্র: বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ, ৮ম সংখ্যা। [১৬ এপ্রিল ১৯৪০] পৃষ্ঠা: ৪৩৩
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২]। গান সংখ্যা ২০১
- বাসন্তিকা (একাঙ্ক নাটিকা)।
- অপ্রকাশিত নজরুল [১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল আজিজ সম্পাদিত]
- নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। বাসন্তিকা (একাঙ্ক নাটিকা)। চতুর্থ দৃশ্য। ফাল্গুনীর গান। পৃষ্ঠা ৩৬১]