আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর শেষ বরষের শেষে (aj chokher jole prarthona mor sesh borosher sheshe)
রাগ: ভৈরবী, তাল: কাওয়ালী
আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর শেষ বরষের শেষে
যেন এমনি কাটে আস্ছে-জনম তোমায় ভালোবেসে॥
এমনি আদর, এমনি হেলা,
মান-অভিমান এমনি খেলা,
এমনি ব্যথার বিদায়-বেলা এমনি চুমু হেসে,
যেন খণ্ডমিলন পূর্ণ করে নতুন জীবন এসে।
এবার ব্যর্থ আমার আশা যেন সফল প্রেমে মেশে॥
যেন আর না কাঁদায় দ্বন্দ্ব-বিরোধ, হে মোর জীবন-স্বামী,
এবার এক হয়ে যাক প্রেমে তোমার তুমি আমার আমি।
আপন সুখকে বড় ক'রে
যে-দুখ পেলেম জীবন ভ'রে,
এবার তোমার চরণ ধরে নয়ন-জলে ভেসে
যেন পূর্ণ করে তোমায় জিনে সব-হারানোর দেশে
মোর মরণ-জয়ের বরণ-মালা পরাই তোমার কেশে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন (অক্টোবর ১৯২৩) মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'আশা'। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৪ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- দোলন চাঁপা
- প্রথম সংস্করণ। [আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দে (অক্টোবর ১৯২৩)] শিরোনাম: শেষ প্রার্থনা।
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, প্রথম খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। দোলন চাঁপা। শিরোনাম: শেষ প্রার্থনা। পৃষ্ঠা: ৯৪-৯৫।
- নজরুল গীতিকা।
- প্রথম সংস্করণ। ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। ঠুংরী। ৮। ভৈরবী-কাওয়ালী।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। ৩৮। ঠুংরী। ভৈরবী-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১৯৮-১৯৯]
- দোলন চাঁপা