তুমি বিদেশ যাইও না বন্ধু

তুমি বিদেশ যাইও না বন্ধু আঁধার করে পুরী।
আমি দিন গোঁয়াতে পারব না আর একলা ঘরে ঝুরি॥
নদীতে মাছ আছে আজো ফসল ফলে মাঠে,
থাকলে তুমি কাছে দুখের দিনও হেসে কাটে।
আমি রূপার বাজু চাই না বন্ধু দিও কাঁচের চুড়ি॥

বন্ধু, কে দেখবে ঢাকাই শাড়ি (যদি) রহ বিদেশ যেয়ে,
বন্ধু বিনা প্রাণ কি জুড়ায় সোনা রূপা পেয়ে।
নারীর যৌবন বনের পাখি বনে যাবে উড়ি॥
বানিজ্যে কে যায় রে সাধু ঘরে নারী রেখে,
আঁচল দিয়ে রাখব কত বুকের আগুন ঢেকে।
বিয়া হইয়াও হায় রে আমি রইলাম আইবুড়ি॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে জুলাই (শুক্রবার, ১৫ শ্রাবণ ১৩৪৯), নজরুলের সাথে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তিপত্রে এই গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুলেএর বয়স ছিল ৪৩ বৎসর ২ মাস।
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২২৪৪। পৃষ্ঠা: ৬৭২]
  • রেকর্ড:
    • ১৯২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে জুলাই (শুক্রবার, ১৫ শ্রাবণ ১৩৪৯), নজরুলের সাথে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি হয়।
    • এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৪২ (ভাদ্র-আশ্বিন)। শিল্পী: রঞ্জিত রায়। অজয় ভট্টাচার্যের রচিত 'তুমি যে গিয়াছ বকুল বিছানো পথে' গানের রঙ্গানুকৃতি।]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।