তিমির-বিদারী অলখ-বিহারী (timiro-bidari olokho bihari)
রাগ: ভৈরবী, তাল: কাহারবা
তিমির-বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি আগত ঐ
টুটিল আগল নিখিল পাগল সর্বসহা আজি সর্বজয়ী॥
বহিছে উজান অশ্রু-যমুনায়
হৃদি-বৃন্দাবনে আনন্দ ডাকে, (ওরে) 'আয়',
বসুধা যশোদার স্নেহধার উথলায়
(ওগো) কাল্-রাখাল নাচে থৈ-তা-থৈ॥
বিশ্ব ভরি' ওঠে স্তব নমো নমঃ
অরির পুরী-মাঝে এলো অরিন্দম।
ঘিরিয়া দ্বার বৃথা জাগে প্রহরী জন
বন্ধ কারায় এলো বন্ধ-বিমোচন,
ধরি' অজানা পথ আসিল অনাগত
জাগিয়া ব্যথাহত ডাকে, মাভৈঃ॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জয়তী পত্রিকার 'কার্তিক-পৌষ, ১৩৩৭ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৩০) সংখ্যায়। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৬ মাস।
- মঞ্চ: কারাগার। নাট্যকার মন্মথ রায়। মনোমোহন থিয়েটার। ২৪শে ডিসেম্বর ১৩৩০ (বুধবার ৯ পৌষ ১৩৩৭)। পঞ্চম অঙ্ক। দুই। ধরিত্রীর গান। শিল্পী: নীহারবালা।]
- পত্রিকা: জয়তী [কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৩৭ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৩০)। শিরোনাম: 'কারগারের গান']
- গ্রন্থ:
- কারাগার। মন্মথ রায় নাট্যগ্রন্থাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [জগদ্ধাত্রী পূজা ১৩৫৮। ২৫শে নভেম্বর ১৯৫১। কারাগার। পঞ্চম অঙ্ক। দুই। ধরিত্রীর গান ]
- চন্দ্রবিন্দু। প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
- রেকর্ড:
- এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩১ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৮)। এন ৩৮১৯। শিল্পী: মিস নীহারবালা। [শ্রবন নমুনা]
- এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ। ১৫ অগ্রহায়ণ-১৬ পৌষ ১৩৪০। পি ১১৭৭৬। শিল্পী: ইন্দুবালা।[শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- নিতাই ঘটক। সঙ্গীতাঞ্জলি। দ্বিতীয় খণ্ড। দ্বিতীয় সংস্করণ। শ্যামাপূজা, ১৩৮৩। গান সংখ্যা ৯। ভৈরবী-কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৩৫-৩৭ [নমুনা]
- সুধীন দাশ ও ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, একাদশ খণ্ড (নজরুল ইনস্টিটিউট জুন ১৯৯৭)] দশম গান [নমুনা]
- ইদ্রিস আলী। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, পঞ্চাশতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, কার্তিক ১৪২৬। জুন নভেম্বর ২০১৯। অষ্টম ও নবম গান। রেকর্ডে নীহারবালা-র গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
- পর্যায়: