ইসলামের এ বাগিচাতে ফুটলো দুটি ফুল

ইসলামের এ বাগিচাতে ফুটলো দুটি ফুল।
শোভায় অতুল সে ফুল আমার আল্লাহ ও রসুল॥

          যুগল কুসুম উজল রঙে
          হৃদয় আমার উঠলো রেঙে
খোশ্‌বুতে তার মাতোয়ারা মনের বুলবুল॥

ফুটুলো যদি সে ফুল আমার খোশ্‌-নসিবের ফলে,
জিন্দেগি ভর্‌ তারি মালা পরবো আমার গলে।

        দুই বাজুতে তাবিজ করে
        খাড়া হব রোজ হাশরে,
বরকতে তার হব রে পার পুলসেরাতের পুল'॥

  • ভাবসন্ধান: ইসলাম নামক বাগনে দুটি অতুল শোভিত পুষ্পসদৃশ সত্তার নাম আল্লাহ ও রসুল। কারণ, এই ধর্মের একমাত্র উপাস্য সত্তা হলেন আল্লাহ এবং এই একেশ্বরের বাণী প্রচারক রসুল তাঁরই প্রেরিত পুরুষ।

এই গানে আল্লাহ ও রসুলের বন্দনা উপস্থাপন করা হয়েছে নানা রূপকতায়। এই অর্থে গানটি নাম-বন্দনা হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

কবি মনে করেন, ইসলামি দুনিয়ায় এই যুগল কুসুমের মহিমায় প্রতিটি মুসলামনের হৃদয় হয়ে উঠে বর্ণে বিভূষিত। এই পুষ্পের সৌরভে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মনোবনের  বুলবুল।

সৌভাগ্য ক্রমে এই অপরূপ ফুল দুটি কবির মনোবনে ফুটেছে। তাই কবির প্রতীজ্ঞা, সারা জীবন তিনি এই দুটি সত্তার নাম গালয়া জপমালা রূপে ধারণ করে থাকবেন। এই নাম দুই বাহুর বাজুতে (হাতের ওপরের অংশের অলঙ্কার) তাবিজ (অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন  প্রতীকী বস্তু, যা বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে থাকে) করে রাখবেন। এই নামদ্বয়ের তাবিজ নিয়ে তিনি হাশরের ময়দানে (শেষ বিচারে আদালতে) সুদৃঢ় চিত্তে নির্ভয়ে দাঁড়াবেন। এই নাম দুটির কল্যাণে তিনি পার হবেন পুলসেরাতের পুল (হাশরের মাঠ থেকে  জান্নাতের দিকে যাওয়ার সেতু।

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি  (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৭) মাসে টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৮ মাস।
     
  • গ্রন্থ: অগ্রন্থিত গান নজরুল রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬, মে ২০০৯, বাংলা একাডেমী। ১২ ৫৬ সংখ্যক গান। ভৈরবী-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ২২২]
     
  • রেকর্ড: টুইন। ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৭)। এফটি ১৩৫২৭। আশরাফ আলী]
  • পর্যায়:
    • বিষবাঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসালমি সঙ্গীত। আল্লাহ-রসুলের নাম-বন্দনা

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।