তোরা যা লো সখি মথুরাতে (tora ja lo shokhi mothurate)
তোরা যা লো সখি মথুরাতে দেখে আয় কেমন আছে শ্যাম।
তোরা কুবুজা-সখির কাছে নিসনে লো নিসনে রাধা নাম॥
তারে রাধার কথা স্মরণ করায়ে দিয়ে দিসনে লাজ দিস্নে ব্যথা।
বড় বাজবে ব্যথা –
মোর শ্যাম যদি লো পায় ব্যথা তা’র দ্বিগুণ ব্যতা বাজবে বুকে
সে অভাগিনী রাধায় ভু’লে যে দেশে হোক আছে সুখে! সখি গো –
দেখে তোরে বিন্দে লো, বৃন্দাবনের কথা গোবিন্দ শুধায় সে যদি? (সখি লো)
বলিস্ – হে মাধব, মাধবী-কুঞ্জ তব ভেঙে গেছে শুকায়েছে যমুনা নদী (সখা হে)
যমুনা শুকাইয়া শ্যাম তব শোকে হে,
লভিয়াছে আশ্রয় শ্রীরাধার চোখে হে।
ব্রজে বাজে না কো বেণু, চরে না কো ধেনু, ফুল-দোল রাস বন্ধ,
আর ময়ূর নাচে না তমাল-চূড়ায়, কেঁদে লুটায় যশোদা-নন্দ
বলিস্-তুমি আসার সাথে শ্যাম পু’ড়ে গেছে ব্রজদাম।
গেছে জ্বলিয়া পুড়িয়া
গেছে গোকুলের খেলাঘর অকুলে ভাসিয়া॥
বলিস্ – কি হবে শুনে সে কথা, তুমি রাখাল নও ত আর,
এখন তুমি রাজাধিরাজ, এখন তুমি কুবুজার॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২)]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৭০ সংখ্যক গান। কীর্তন। পৃষ্ঠা ২৬৬-২৬৭]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৯৪০।পৃষ্ঠা: ৫৮৪]
- সুর-সাকী