নতুন নেশার আমার এ মদ বল কি নাম দেব এর বঁধুয়া (notun neshar amar e mod bol ki naam debo er bondhua)

নতুন নেশার আমার এ মদ বল কি নাম দেব এর বঁধুয়া।
গোগী চন্দন গন্ধ মুখে এর বরণ সোনার চাঁদ চূঁয়া॥
        মধু হতে মিঠে পিয়ে আমার মদ
        গোধূলি রঙ ধরে কাজল নীরদ,
প্রিয়েরে প্রিয়তম করে এ মদ মম, চোখে লাগায় নভোনীল ছোঁয়া॥
        ঝিম হয়ে আসে সুখে জীবন ছেয়ে,
        পান্‌সে জোছনাতে পান্‌সি চলে বেয়ে,
মধুর এ মদ নববধূর চেয়ে আমার মিতালি এ মহুয়া॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।  ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর (১৬ই পৌষ ১৩৩৬), নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত 'মহুয়া' নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকটিতে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, মন্মথ রায় নাটকটি ৪-১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে রচনা করেছিলেন। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল- ৩০ বৎসর ৭ মাস।

    গ্রন্থ:

    • মহুয়া (নাটক)। নাট্যকার: মন্মথ রায়। পঞ্চম অঙ্ক। মহুয়ার গান। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার মনোমোহন থিয়েটারে  'মহুয়া' নাটকের উদ্বোধনী পরিবেশনায় গানটি পরিবেশন করেছিলেন সরযুবালা।
    • নজরুল-গীতিকা
      • প্রথম সংস্করণ [২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ (মঙ্গলবার, ১৬ ভাদ্র ১৩৩৭)। খেয়াল। ৪।  আশাবরী-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১২৯]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। খেয়াল । ১০২। আশাবরী-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ২৪৪-২৪৫]
  • বেতার: 'মহুয়া'। মন্মথ রায় রচিত সঙ্গীতবহুল নাটক।
    • প্রথম প্রচার। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে (শুক্রবার ১ পৌষ ১৩৩৯),  সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৭টা থেকে ১০টা।
      • সূত্র: বেতারজগৎ। ৪র্থ বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা। ১৯৩২। পৃষ্ঠা: ২২৮]
    • দ্বিতীয় প্রচার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র। শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০। ২৬ মাঘ ১৩৪৬। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৬.৪৫-৮.৩৯ মিনিট।
      • সূত্র: বেতার জগৎ-এর  [১১শ বর্ষ, ৩য় সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ১৫০]
  • রেকর্ড: এইচএমভি  [সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১)। এন ৭২৬৮। শিল্পী ইন্দুবালা । সুর: নজরুল ইসলাম। মিশ্র খাম্বাজ। শ্রেণী-গজল। রেকর্ড বুলেটিনে রাগের নাম দেওয়া হয়েছিল জৌনপুরী। [শ্রবণ নমুনা]

  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ত্রিশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা।  আষাঢ়, ১৪১৩/জুলাই ২০০৬] ইন্দুবালা-এর রেকর্ডে গাওয়া গান অবলম্বনে কৃত স্বরলিপি। ১৪ সংখ্যক গান। [নমুনা]
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।