বনে বন জাগে কি আকুল হরষণ (bone bone jage ki akul horoshon)

বনে বন জাগে কি আকুল হরষণ।
ফুল-দেবতা এলো দিতে ফুল-পরশন॥
হরিৎতর আজি পল্লব বন-বাস
মুকুল-জাগানিয়া সমীরণ ফেলে শ্বাস,
বেপথু লতা যাচে মধুপের দরশন॥
কিশোর-হিয়া-মাঝে যৌবন-বারতা,
বধূর সাথে খোঁজে বঁধু বন-নিরজন॥

  • ভাবার্থ: গানটিতে রয়েছে প্রকৃতি ও মানব মনের শৃঙ্গার রসের রভস আনন্দের প্রকাশ। বসন্তের আগমনে বনে বনে জাগে পুষ্পিত যৌবনের আনন্দ। যেন ফুলের স্পর্শ দেওয়ার ছলে প্রকৃতিতে ফুলদেবতার আসে বসন্তের ছদ্মবেশে। বনবনান্ত ছেয়ে যায় পল্লবঘেরা হরিৎবর্ণের বর্ণাঢ্য ফুলের বাহারে। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মুকুলিত বনররাজিতে ফুল হয়ে ফুটে ওঠার সৌরভ। ভ্রমরের দর্শন লাভের আশায় প্রণয়াবেশে লতায় জাগে কম্পিত যৌবনের শিহরণ। প্রকৃতির এই যৌবনের খেলায় কিশোরের মনেও নবযৌবনের বারতা ছড়িয়ে পড়ে। বধুর সাথে মিলনের আকাঙ্ক্ষায় যৌবন-বন্ধু খোঁজে মিলনের নির্জন বন-বাসর। 
     
  • রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত 'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
     
  • গ্রন্থ: চন্দ্রবিন্দু
    • প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯৩১ (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
    • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। চন্দ্রবিন্দু। ৩৭। ভৈরবী-সেতারখানি। পৃষ্ঠা: ১৮১]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি (বসন্ত) ও প্রেম

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।