বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যৃথী বেলি (bone mor futechhe hena chameli )
বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যৃথী বেলি।
এসো এসো কুসুম সুকুমার শীতের মায়া-কুহেলি অবহেলি' ॥
পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দুল্ দোলায়
(পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দেয় দোলন্)
উতলা দখিন হাওয়া
কোকিল কুহরে কুহু কুহু স্বরে মদির স্বপন-ছাওয়া।
হাসে গীত-চঞ্চল, জোছনা-উজল মাধবী রাতি
এসো এসো যৌবন সাথি
ফুল-কিশোর, হে চিতচোর, দেবতা মোর।
মম লাজ অবগুণ্ঠন ঠেলি' ॥
- ভাবার্থ: শীতের মায়াকুয়াশার যাদুমন্ত্রে যে কুসুমকুমার আচ্ছন্ন হয়ে ছিল, সে মায়াজাল সরিয়ে কবির বনে ফুটেছে হেমা, চামেলি, যূথী, বেলী। তাই কুসুমকুমারকে শীতের মায়ামন্ত্র অপসারিত করে পুষ্পিত বসন্তের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন কবি এই গানে।
বসন্তের উতলা দখিনা হওয়ার দোলনা দুলে ওঠে প্রাণের গভীরে। তাতে কোকিলের মোহনীয় সুরে মনে জাগায় স্বপ্নের মায়া। তাই যৌবন-চঞ্চল সঙ্গীতে মুখরিত জ্যোৎস্নাস্নাত মাধবী রাতে কবি কুসমকুমারকে যৌবনের সাথী হিসেবে আহ্বান করেন। যেন সে ফুল-কিশোর, কবি-মনের সলাজ অবগুণ্ঠন সরিয়ে আরাধ্য দেবতার মতো চিতচোর হয়ে আসে তার কাছে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন (অক্টোবর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ) মাসে প্রকাশিত 'বনগীতি' গ্রন্থে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- বনগীতি
- প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)। জংলা-দাদরা। পৃষ্ঠা: ৫৫] ।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। গান ৩৫। জংলা-দাদরা। পৃষ্ঠা ১৯৯।
- বনগীতি
- পত্রিকা: গুলিস্তাঁ [অগ্রহায়ণ ১৩৩৯ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৩২)]
- রেকর্ড: মেগাফোন। জানুয়ারি ১৯৩৪ (পৌষ- মাঘ ১৩৪০)। জেএনজি ৯২। শিল্পী: শ্রীমতী প্রভা [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা] ১১ সংখ্যক গান। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, বসন্ত
- সুরাঙ্গ: স্বকীয়
- তাল: দ্রুত দাদরা
- গ্রহস্বর: সগা