বন্ধু আমার থেকে থেকে কোন্‌ সুদূরের বিজন পুরে (bondhu amar theke theke kon)

বন্ধু আমার! থেকে থেকে কোন্‌ সুদূরের বিজন পুরে
            ডাক দিয়ে যাও ব্যথার সুরে?
আমার অনেক দুখের পথের বাসা বারে বারে ঝড়ে উড়ে,
            ঘর-ছাড়া তাই বেড়াই ঘুরে॥
            তোমার বাঁশীর উদাস কাঁদন
            শিথিল করে সকল বাঁধন
            কাজ হ'ল তাই পথিক সাধন,
            খুঁজে ফেরা পথ-বঁধূরে,
            ঘুরে' ঘুরে' দূরে দূরে॥
হে মোর প্রিয়! তোমার বুকে একটুকুতেই হিংসা জাগে,
তাই তো পথে হয় না থামা-তোমার ব্যথা বক্ষে লাগে!
            বাঁধতে বাসা পথের পাশে
            তোমার চোখে কান্না আসে
            উত্তরী বায় ভেজা ঘাসে
            শ্বাস ওঠে আর নয়ন বুঝে,
            বন্ধু, তোমার সুরে সুরে॥

  • রচনাকাল: ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নবযুগ পত্রিকার অফিস ছুটি হয়ে যায়। এই ছুটি কাটানোর জন্য অক্টোবরের ১-২ তারিখে (রবি-সোম, ১৫-১৬ আশ্বিন)  নজরুল এবং মুজাফ্ফর আহমদ বরিশালে শের-এ-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ভাগ্নে ওয়াজির জালী ও ইউসুফ আলীর বাড়িতে যান। এই সময় এই কবিতটি রচনা করেছিলেন। কবিতাটিতে সুরারোপিত করে গানে পরিণত করা হয়েছিল।  ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনার তারিখ উল্লেখ আছে 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭' (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯২০)। এই সময় নজরুলের  বয়স ছিল ২১ বৎসর ৪ মাস। 
     
  • গ্রন্থ: ছায়ানট প্রথম সংস্করণ [বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ আশ্বিন ১৩৩২। শিরোনাম 'দূরের বন্ধু'। পৃষ্ঠা
  • পত্রিকা: মোসলেম ভারত [কার্তিক ১৩২৭ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯২০)। শিরোনাম গান। লাউনি বারোয়াঁ-তেওড়া ]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি। সাধারণ। অনুযোগ
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয়

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।