বিদায়-সন্ধ্যা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার (biday-sondha ashilo oi)
বিদায়-সন্ধ্যা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥
এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥
হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার।
তুমি বুঝিবে না কি অভিমান
মিলনের মালা করিল ম্লান
উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল (চৈত্র ১৩৩৮- বৈশাখ ১৩৩৯) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ডে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ১১ মাস।
- গ্রন্থ: সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২)] [সুর-সাকী ৩]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৩ । ভীমপলশ্রী-একতালা। পৃষ্ঠা: ২২২-২২৩]
- রেকর্ড:
- এইচএমভি। এপ্রিল ১৯৩২ (চৈত্র ১৩৩৮- বৈশাখ ১৩৩৯)। পি ১১৭৪৩। শিল্পী: আঙ্গুরবালা
- এইচএমভি। [সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৫৫)। এন ২৭৯০০। শিল্পী: সন্তোষ সেনগুপ্ত] [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আষাঢ়, ১৪১৩/জুলাই ২০০৬] আঙ্গুরবালা-র রেকর্ডে গাওয়া গান অবলম্বনে কৃত স্বরলিপি। ১৯ সংখ্যক গান। [নমুনা]
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
- পর্যায়: