বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন (beyan ,boli o beyan)

পুরুষ   :  (বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন)           
বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি
স্ত্রী      :  বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
            ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
পুরুষ   :  (বলি ও বেয়ান তোমার)
            দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি
            আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি
            (আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো
            দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে
            দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে
            আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি।
স্ত্রী      :  (বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি।
পুরুষ   :  (বলি ও বেয়ান ঠাকুরুন তোমার)
            ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি।
স্ত্রী      :  (বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ)
            বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি
            যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি)
            কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)।
পুরুষ   :  (বলি ও বেয়ান)
            ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন
স্ত্রী      :  (বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্‌দো ভূত যে চামড়া খেকো
            ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ধূমকেতু (নবপর্যায়) পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৮ সংখ্যায়' গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৭ মাস।
  • পত্রিকা: ধূমকেতু (নবপর্যায়)। পৌষ ১৩৩৮ (ডিসেম্বর ১৯৩১-জানুয়ারি ১৯৩২)। শিরোনাম: বেয়াই বেয়ান।
     
  • রেকর্ড: টুইন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৫)। এফটি ১২৭১০। শিল্পী: রাধারাণী ও গোপাল ভট্টাচার্য [শ্রবণ নমুনা]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।