ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে বলো গো সেই হরিণীরে (borer haoya! dhire dhire)

ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে বলো গো সেই হরিণীরে।
আর কত দিন দিশাহারা ঘুরব একা মরুর তীরে॥
মিষ্টি চিনির পররিণীর হৃদয় কেন কষায় হেন,
এই চিনি-খোর তুতীর পানে কেন গো সে চায় না ফিরে॥
গোলাব লো! তোর রূপের গরব দেয় না বুঝি জিজ্ঞাসিতে,
প্রণয়-পাগল বুলবুলি তোর ভাসে কেন অশ্রু-নীরে॥
চতুর নিষাদ শিকার করে প্রণয়ীরে মুখের মিঠায়,
চপল পাখি ধরতে সে গো বিছায় না জাল আকাশ ঘিরে॥
বঁধুর পাশে বসে তোমার ঢাল্‌বে যেদিন রঙীন শারাব
স্মরণ ক’রো রূপসী, এই উপোসী-মন দূর সাথীরে॥
শেয়র : সরল-তনু, কাজল-আঁখি, চাঁদের মালা ললাট-কূলে –
রঙীন্‌ প্রেমের লাগল না রঙ কেন গো সে রূপের ফুলে।
তোমার রূপের চাঁদে, প্রিয়, এই শুধু কলঙ্ক-লেখা –
মধুর রূপের কাননে নাই বিধুর প্রেমের কুহু কেকা!
হাফেজী এই গজল যদি পৌছে আকাশ, নয সে কিছু,
গাইবে সে গান ‘জোহরা’ তারা, নাচবে 'ঈশা' সে সুর মীড়ে॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই  সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস। ওমর খেয়ামের দুটি রুবাই- নিয়ে এই গানটি তৈরি করা হয়েছিল।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-গীতিকা
      • প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।  দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ৩। পিলু-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১১ ]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা।  দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ১১। পিলু-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১৭৬-১৭৭]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।