রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর (rumu rumu rumu jhumu jhumu baje nupur)

রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর
তালে তালে দোদুল দোলে নাচের নেশায় চুর॥
চঞ্চল বায়ে আঁচল উড়ায়ে
চপল পায়ে ও কে যায়
নটিনী কল তটিনীর প্রায়
চিনি বিদেশিনী চিনি গো তায়
শুনি' ছন্দ তারি এ হিয়া ভরপুর॥
নাচন শিখালে ময়ূর মরালে
মরিচী-মায়া মরুতে ছড়ালে
বন-মৃগের মন হেসে ভুলালে
ডাগর আঁখির নাচে সাগর দুলালে।
গিরিদরি বনে গো দোল লাগে নাচনের শুনে তারি সুর॥

  • ভাবার্থ: এই গানে বর্ষাকে নৃট্যপটিয়সিনী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। মূলত ঋতু পরিবর্তনের ধারায় বর্ষা প্রকৃতিতে যে নবতর  ছন্দ আনে, তাই নানা রূপকতার মধ্য দিয়ে এই গানে উপস্থাপিত হয়েছে।

    এই বর্ষানন্দিনী পায়ে বাজে বর্ষার নূপুর। তার নৃত্য-ছন্দের নেশায় দোলায়িত হয় প্রকৃতি। তার চলার ছন্দের ছোঁয়ায়- সচঞ্চল কল্লোলিত নদীর তরঙ্গিনী হয়ে ওঠে। দেখে মনে হয় কোনো বিদেশনী, তবু সে চিরচেনা। এই নটিনী ময়ূর ও মরালকে শিখায় নাচ, মরুভূমিতে ছড়িয়ে দেয় মরীচিকার মায়া, বনমৃ্গকে মুগ্ধ করে করে মোহনীয় হাসিতে।  তার ডাগর আঁখির নাচে সাগর দুলে ওঠে, গিরি-পর্বত-বন দোলে তার নাচের সুরতরঙ্গের আবেশে।

     
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বন ১৩৩৯) মাসে, মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ২ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • বনগীত
      • প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)]।  বেহাগ-খাম্বাজ।
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। ১৯ সংখ্যক গান।  বেহাগ-খাম্বাজ। পৃষ্ঠা ১৮৮-১৮৯]
  • রেকর্ড: মেগাফোন [সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (ভাদ্র-আশ্বন ১৩৩৯)। জে.এন.জি ৪। শিল্পী: মিস বীণাপাণি]
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ।  [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, ত্রয়োদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট । জ্যৈষ্ঠ ১৪০১/মে ১৯৯৪। ২৩ সংখ্যক গান] [নমুনা]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি (ঋতু, বর্ষা)
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয়

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।