শুকালো মিলন-মালা (shukalo milon-mala)
রাগ: কাংলাংড়া-ভৈঁরো, তাল: আদ্ধা-কাওয়ালি/দাদরা
শুকালো মিলন-মালা, আমি তবে যাই।
কি যেন এ নদী-কূলে খুঁজিনু বৃথাই॥
রহিল আমার ব্যথা
দলিত কুসুমে গাঁথা,
ঝুরে’ বলে ঝরা পাতা – ‘নাই কেহ নাই’॥
যে-বিরহে গ্রহ-তারা সৃজিল আলোক,
সে-বিরহে এ জীবন জ্বলি’ পুণ্য হোক।
চক্রবাক চক্রবাকী
করে যেমন ডাকাডাকি,
তেমনি এ কূলে থাকি’ ও-কূলে তাকাই॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না। নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল 'ঝিলিমিল' নামক একটি একাঙ্কিকা প্রকাশিত হয়েছিল। একাঙ্কিকাটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ করা হয়েছিল- কৃষ্ণনগর, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪। এই একাঙ্কিকাটির অংশ হিসেবে এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই সূত্রে ধারণা করা যায়, গানটি রচনার সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৮ বৎসর ১ মাস।
- পত্রিকা: নওরোজ। আষাঢ় ১৩৩৪ (জুন-জুলাই ১৯২৭)। ঝিলিমিলি। প্রথম দৃশ্য। হাবিবের গান।
- গ্রন্থ:
- ঝিলিমিলি।
- প্রথম সংস্করণ । (নভেম্বর ১৯৩০। অগ্রহায়ণ ১৩৩৭)। প্রথম দৃশ্য। হাবিবের গান।
- নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। প্রথম দৃশ্য। হাবিবের গান। পৃষ্ঠা: ৩৬২।
- বুলবুল।
- প্রথম সংস্করণ।নভেম্বর ১৯২৮। কার্তিক ১৩৩৫। গান-৩৪। কালাংড়া-ভৈরোঁ-আদ্ধা কাওয়ালি।
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। বুলবুল। গান ৩৪। কালাংড়া-ভৈরোঁ-আদ্ধা কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১৭৭]
- ঝিলিমিলি।