হয়তো তোমার পাব দেখা (hoyto tomar pabo dekha)
হয়তো তোমার পাব দেখা,
যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা॥
ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,
আলোর পথে, বিজন ঘাটে ;
হয়তো এসে মুচকি হেসে
ধরবে আমার হাতটি একা॥
ঐ নীলের ঐ গহন-পারে ঘোমটা-হারা তোমার চাওয়া,
আনলে খবর গোপন-দূতী দিক-পারের ঐ দখিন হাওয়া।।
বনের ফাঁকে দুষ্টু তুমি,
আস্তে যাবে নয়না চুমি,
সেই সে কথা লিখছে হেথা
দিগ্বলয়ের অরুণ-লেখা॥
- রচনাকাল: ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নবযুগ পত্রিকার অফিস ছুটি হয়ে যায়। এই ছুটি কাটানোর জন্য অক্টোবরের ১-২ তারিখে (রবি-সোম, ১৫-১৬ আশ্বিন) নজরুল এবং মুজাফ্ফর আহমদ বরিশালে শের-এ-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ভাগ্নে ওয়াজির জালী ও ইউসুফ আলীর বাড়িতে যান। এই সময় এই কবিতটি রচনা করেছিলেন। কবিতাটিতে সুরারোপিত করে গানে পরিণত করা হয়েছিল। ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনার তারিখ উল্লেখ আছে 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭' (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯২০)। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২১ বৎসর ৪ মাস।
- পত্রিকা: মোসলেম ভারত [পৌষ ১৩২৭ (ডিসেম্বর ১৯২০-জানুয়ার ১৯২১)। শিরোনাম: আশা]
- গ্রন্থ: ছায়ানট । প্রথম সংস্করণ [বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ আশ্বিন ১৩৩২। শিরোনাম 'আশা'। পৃষ্ঠা ৫৮]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম।
- সুরাঙ্গ: স্বকীয়