হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা! (he bidhata! he bidhata! he bidhata! )
হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা!
দুঃখ-শোক-মাঝে, তোমারি পরশ রাজে,
কাঁদায়ে জননী-প্রায়, কোলে কর পুনরায়, শান্তি-দাতা॥
ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে
স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে।
দুঃখের মাঝে তাই, হরি হে, তোমারে পাই দুঃখ-ত্রাতা॥
দারা-সুত-পরিজন-রূপে হরি, অনুখন
তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন।
তুমি যবে চাহ মোরে, লও হে তোদের হ’রে
ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোর, ক্রোড়ে ধর আপন।
ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে 'নারায়ণ',
নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন।
সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায় আসন পাতা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯) প্রকাশিত 'বনগীতি' গ্রন্থে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- বনগীতি
- প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)। ভজন। মেঘ-তেতালা। পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০] ।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। ২৫ সংখ্যক গান। ভ্জন। মেঘ-তেতালা। পৃষ্ঠা ১৯৩]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২১৫১। রাগ: মেঘ, তাল: ত্রিতাল পৃষ্ঠা: ৬৪৭।
- বনগীতি
- রেকর্ড:
- এইচএমভি [নভেম্বর ১৯৩২ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৩৯)। পি ১১৭৫৭। শিল্পী ইন্দুবালা। ]
- টুইন [জুলাই ১৯৩৫ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪২)। এফটি ৪০১৯। শিল্পী ইন্দুবালা। ]
- এইচএমভি [জুন ১৯৬৪। শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এন ৮৩০৭৪। এই রেকর্ডের লেবেলে প্রথম 'নজরুলগীতি' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চুয়ান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আশ্বিন ১৪২৮। সেপ্টেম্বর ২০২১] গান সংখ্যা ২৫। পৃষ্ঠা: ১২৯-১৩১ [নমুনা]
- আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চুয়ান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আশ্বিন ১৪২৮। সেপ্টেম্বর ২০২১] গান সংখ্যা ২৫। পৃষ্ঠা: ১২৯-১৩১ [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত [সনাতন হিন্দু ধর্ম, বৈষ্ণব]
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- রাগ: মেঘ [মেঘ মল্লার]
- তাল: ত্রিতাল
- গ্রহস্বর:মপা