হোরির রঙ লাগে আজি গোপিনীর তনু মনে।
অনুরাগে-রাঙা গোরীর বিধু-বদনে॥
ফাগের লালী আনিল কে,
কাজল-কালো চোখে
কামনা-আবির ঝরে রাঙা নয়নে॥
অশোক রঙন ফুলের আভা জাগে ডালিম-ফুলী গালে,
নাচিছে হৃদয় আজি রসিয়ার নাচের তালে।
তাম্বুলীরাঙা ঠোঁটে ফাগুনের ভাষা ফোটে,
(তার) প্রাণের খুশির রং লেগেছে রাঙা বসনে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০ এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৮ মাস।
- গ্রন্থ:
- গীতি-শতদল
- প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪। রসিয়া-হোরি]।
- নজরুল রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড [বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১ । গীতি-শতদল। গান সংখ্যা ৮৫। ভৈরবী-কাহারবা। পৃষ্ঠা ৩৩৩]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২১৬১। পৃষ্ঠা: ৬৫০]
- রেকর্ড: এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০)]। এন ৭১৯২। শিল্পী: আশ্চর্যময়ী।
- বেতার:
- আবীর কুমকুম। দোল-পূর্ণিমা উপলক্ষে রচিত গীতি-আলেখ্য [১৩ মার্চ ১৯৪১ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৩৪৭)। শিল্পী: চিত্ত রায়। সুর: নজরুল।]
সূত্র: [Indian-listener 1941-Vol-VI-4]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [ধর্মসঙ্গীত, সনাতন, বৈষ্ণবসঙ্গীত, হোরী]
- সুরাঙ্গ: হোরি/হোলি
- তাল: তালফেরতা (কাহারবা- দাদরা)
- লয়: ধা