আজো হেথা তেমনি ধারা বাজে। (ajo hetha temoni dhara baje)
আজো হেথা তেমনি ধারা বাজে শ্যামের বাঁশরি।
আজো হেথা নিশীথরাতে কুঞ্জে আসে কিশোরী॥
বাঁশির তানে শ্রীযমুনা তেমনি উজান বয়
গোঠে গিয়ে বৎস ধেনু ঊর্ধ্বমুখী রয়।
কে বলে শ্যাম চ’লে গেছে
যায়নি ব্রজেই কানু আছে
সে কিরে সই থাকতে পারে বৃন্দাবন পাসরি॥
- ভাবসন্ধান: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী রচিত রেকর্ড নাটক 'মীরাবাঈ'-এর জন্য এই গানটি নজরুল রচনা করেছিলেন। এটি বৃন্দাবনে রাধাকৃষ্ণের লীলা-মহিমার স্মরণে রচিত গান। মীরা ও তাঁর সঙ্গীদের পরিবেশিত এই স্মরণসঙ্গীতে রয়েছে- বিগত বৃন্দাবনলীলার স্মরণে কল্পরূপে বিহার, রয়েছে হারানো দিনের চিরন্তন অনুভবে ভক্তিরসে নিজকে প্রবোধ দেওয়ার প্রেরণা। তাই মীরা ভাবেন হয়তো এখনো আগের মতই সেখানে বাজে শ্যামের বাঁশী। আর সে বাঁশীর সুরে গভীর রাতে অভিসারে আসেন রাই-কিশোরী। সে বাঁশীর সুরে যমুনার স্রোতধার তেমনি বয়ে চলে। গোশালে গো-বৎস, গাভী ঊর্ধমুখী হয়ে বাঁশীর সুর শোনার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে রয়।
মীরা ভাবেন শ্যাম চলে গেছেন- তা সত্য নয়। ব্রজের কানাই ব্রজেই আছেন। এই বিশ্বাসে মীরা সখিদের বলেন- এই অবস্থায় তিনি কিভাবে বৃন্দাবনকে ভুলে থাকতে পারেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪০) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি যোগেশ চৌধুরী 'মীরাবাঈ' নাটক প্রকাশ করে। এই নাটকে গানটি এই নাটকের মীরা চরিত্রের গান হিসেবে প্রথম প্রচারিত হয়। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৩ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪০)। এন ৭১৪৫। নাটক মীরাবাঈ নাট্যকার: যোগেশ চৌধুরী। সমবেত কণ্ঠে গীত। [শ্রবণ নমুনা]
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৫০৫। নাটিকা : ‘মীরাবাঈ’। পৃষ্ঠা: ৭৭২]
- নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চুয়াল্লিশততম খণ্ড। স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী। [স্বরলিপি নজরুল ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত। আষাঢ় ১৪২৪/জুন ২০১৮] পৃষ্ঠা: ৩২-৩৪। [নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চুয়াল্লিশততম খণ্ড। ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত। আষাঢ় ১৪২৪/জুন ২০১৮] পৃষ্ঠা: ৩২-৩৪। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। কৃষ্ণ। আত্মনিবেদন মীরাবাঈ
- সুরাঙ্গ: ভজন
- তাল: দাদরা
- গ্রহস্বর: গা