আদায় আর কাঁচকলায় (aday ar kachkolay)

    [অতি তুচ্ছ গোরাচাঁদ বলছেন :]
আদায় আর কাঁচকলায় মিলন মোদের স্বামী-স্ত্রীতে।
(আছে) সদাই লেগে ঠুকুস ঠাকুস ছুতোর রাজমিস্ত্রীতে॥
আমি বলি স্ত্রীর চেয়ে শালী সে ঢের ভালো
তা হোক যে মোট্কা পিলে পট্কা হাঁদা খাঁদা কালো,
বাবা তাক্ সবারই ঘরের চেয়ে পরের সামগ্রীতে॥
(তখন আমার স্ত্রী বলেন) তুমি আমার স্বামী না কাঁচকলা
বড়ঠাকুরকে বরং স্বামী বললেও যায় বলা,
(আছেন) সদই দিদির আঁচল ধ’রে, পা টেপেন নিভৃতে॥
আমি বলি (বড্ড ভয়ে ভয়ে বলি) দেখছ বপু? দেবো তোমায় চেপ্টে!
পাটিসাপ্টা পিঠের মতন স্ত্রী ধরেন লেপ্টে,
গজ-কচ্ছপ যুদ্ধ বাধে কাব্লি ও কাফ্রিতে॥
সদাই ঝগড়া ঝগড়ি যেন চোর পুলিশে কুস্তি
লেগেই আছে সাপে নেউলে নেই একটুও স্বস্তি,
(বাজে) ভাসুর-ভাদ্র-বৌ-সুর সদা হৃদয় তন্ত্রীতে॥
[আর বিয়া করুম না]।

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৩ মাস।

  • রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১)।  এন ৭২৭৫।  শিল্পী: বিমল গুপ্ত। সুর: কিলি ক্র্যাঙ্কি। রেকর্ডে পরিচয় 'বিয়ের আগে'। [শ্রবণ নমুনা]
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৫২৮]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।