আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ (anondo re anondo, anondo anondo)
আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ,
দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ছড়িয়ে এলো আনন্দ।
ঘরে ফেরার বাজল বাঁশি, বইছে বাতাস সুমন্দ॥
আমার মায়ের মুখে হাসি, শরত-আলোর কিরণরাশি,
কমল বনে উঠছে ভাসি, মায়ের গায়ের সুগন্ধ॥
উঠলো বেজে দিগ্বিদিকে ছুটির মাদল মৃদঙ্গ,
মনের আজি নাই ঠিকানা, যেন বনের কুরঙ্গ।
দেশান্তরী ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে এলো ধেয়ে,
শিশির নীরে এলো নেয়ে স্নিগ্ধ অকাল বসন্ত॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ৩৫ বৎসর ছিল ৩ মাস।
- গ্রন্থ:
- গানের মালা।
- প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। গানের মালা ৬৯। (দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা) ভৈরবী- মিশ্র-দাদরা। (আগমনী)
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। গানের মালা ৬৯। ভৈরবী- মিশ্র-দাদরা। (আগমনী)। পৃষ্ঠা ২৩৪-২৩৫]
- রাঙা জবা। কাজী নজরুল ইসলাম। প্রথম সংস্করণ। হরফ প্রকাশনী, কলিকাতা [১৪ এপ্রিল ১৯৬৬)। ১লা বৈশাখ ১৩৭৩] গান সংখ্যা ১৫। পৃষ্ঠা: ২৪।
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২] । গান সংখ্যা ৮০৭।
- গানের মালা।
- রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪১)। এন. ৭২৭৩। শিল্পী: বাংলার ছেলেমেয়ে (কমল দাশগুপ্ত, সুবল [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: সালাউদ্দিন আহ্মেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, পঁচিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ভাদ্র, ১৪১২/আগস্ট ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] প্রথম গান।[নমুনা]
- সুরকার: কমল দাশগুপ্ত
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, শাক্ত, আগমনী)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: দাদরা
- গ্রহস্বর: সা